দূর্গাপুররাজশাহীরাজশাহী সংবাদ

রাজশাহী কোর্টের আইনজীবি পরিচয় দিয়ে ধর্ষণ-ভিডিওতে দেখুন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এক অসহায় পরিবারের সুযোগ নিয়ে নিউডিগ্রী কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে আড়াই বছর ধর্ষণ করে রাজশাহী শহর ছেড়ে দুর্গাপুর তার নিজগ্রাম বহরমপুরে আশ্রয় নিয়েছে এক প্রতারক। সেই কলেজ ছাত্রীর বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায়। নির্যাতিত সেই কলেজ ছাত্রী জানান জীবন আলী সবুজ ওরফে কুরবান নামের সেই ব্যক্তি ২০১৮ সালে তাকে রাজশাহীর জজ আদালতের আইনজীবি পরিচয় দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। পরে সেই ছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে বিভিন্ন সময় শাররীক সম্পর্ক গড়েতুলে।


কিছুদিন পরে সেই ছাত্রী বিয়ের জন্য চাপদিলে তাকে কাজিডেকে বিয়ে করেন প্রথমে কোট সংলগ্ন বুলনপুর ও পরে ভেড়িপাড়া ফুড অফিসের পার্শে ভাড়া করা বাসায় রাখেন। সেখানে থাকা অবস্থায় সেই ছাত্রী তাদের বিয়ের কাগজের কপি চাইলে কুরবান তা নাদিয়ে বিভিন্ন টাল বাহানা শুরু করে। সেই ছাত্রী জানান আমরা যে বাসায় দুইজন থাকতাম সেখানেও অনেক অঘটন ঘটিয়েছে এই প্রতারক কুরবান। তিনি বলেন কলেজ ছুটির সময় আমি গ্রামের বাড়িতে গেলে তখন বিভিন্ন মেয়েদের নিয়ে ফুর্তি করত কুরবান। পরে প্রতিবেশি ভাড়াটিয়াদের নিকট তার কুকীর্তি জানার পর আমি এর প্রতিবাদ করলে তখন আমার উপর নির্যাতন করত কুরবান।

কুরবানের নির্যাতনের শিকার হয়ে আমি একাধিক বার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি যার প্রমান ও রয়েছে আমার নিকট। অবশেষে আমি আদালতে নারীশিশু আইনের ১১ খ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছি যাহার মামলা নং ১৫৭-২০২০ । জানতে চাইলে কুরবানের ভেড়িপাড়া বাসার ঘটনা নিয়ে সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জানান আমার নিকট পূর্বে একটা শালিস এসেছিল কুরবান তার মালসামানা সেই ভাড়া বাসায় রেখে পালিয়েছিল। পরে থানার জিম্মায় কি হয়েছিল আর বলতে পারব না। রাজপাড়া থানার সাবেক উপ পরিদর্শক(এস আই) শরিফুল বলেন আমার নিকট সেই কলেজ ছাত্রীর অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব পড়েছিল তিনি বলেন আমি তদন্তকালে জানতে পারি সেই কুরবান একজন বড় ধরনের প্রতারক সে বিভিন্ন মেয়ের সাথে প্রতারণা করার বিষয়টি সেই মেয়েটি জেনে যাওয়ায় কারনের তাদের স্বামীস্ত্রীর মধ্যে মারধরের ঘটনাঘটে পরে তাদের বিয়ের কাগজ নিয়ে কুরবান সেখান থেকে পালিয়েযায়।

এস আই শরিফুল বলেন তাদের ভাড়া বাসার এলাকার সকলেই কুরবানের অপকর্মের বিষয়ে সাক্ষি দিয়েছে পরে একজন সাংবাদিকের অনুরোধে আমি আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। মোহনপুর উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মোছাঃ কামরুন নেসা বলেন সেই ছাত্রীর দায়ের করা মামলা আদালত থেকে আমাকে তদন্তের জন্য দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন সেই ছাত্রীর অভিযোগের বিষয়ের সাথে সকল ঘটনার মিল পেয়েছি এবং আদালতে পূর্ণ প্রতিবেদন দাখিল করেছি।তিনি বলেন কুরবান এই মেয়েটির সাথে যে ঘটনা ঘটিয়েছে তা ভয়ংকর অন্যায়।মোহনপুরের একজন কলেজ প্রধান বলেন কুরবান আমাকেও হুমকি দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করেছিল।

আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা বলেন আমি তদন্তকালে জেনেছি কুরবান পূর্বে ও নারী ঘটিত অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। রাজশাহী আদালতের একজন আইনজীবি বলেন আমার স্ত্রী একজন আইনজীবি কুরবান তার সাথে নিজেকে আইনজীবি পরিচয় দিয়ে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন পরে আমি জানতে পেরে তাকে আদালত থেকে গল্লাধাক্কা দিয়ে বেরকরে পুলিশে দিতে গেলে স্থানিয়দের অনুরোধে বিষয়টি ক্ষমা করেদেই। বিষয়টি রাজশাহী আইনজীবি সমিতির সভাপতি স্বীকার করে বলেন জীবনআলী কুরবান নামের একজন ব্যক্তি আমার নিকট একটি অভিযোগ দিয়েছিল তাকে নাকি মারধর করেছে একজন আইনজীবি পরে আরকেউ এই বিষয় নিয়ে আসেনি।

রাজশাহী জেলা পুলিশের একটি সুত্র জানায় এই কুরবানের নামে রাজশাহীর বিভিন্ন জায়গায় একাধিক মামলা রয়েছে। মামলার বাদি প্রতারিত সেই কলেজ ছাত্রী জানান কুরবানের বর্তমান অপকর্মের মুল হোতা হিসেবে কাজ করছেন দুর্গাপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামের সোহান নামের একটি ছেলে। সোহান বিভিন্ন সময় মামলা তুলে নেওয়া সহ বিভিন্ন ভাবে ভয়ভিতি প্রদর্শন করছেন। সোহানের নামে এরই মাঝে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের সকল প্রক্রিয়া সম্পর্ন করেছেন সেই কলেজ ছাত্রী। একজন কলেজ ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে এরই মাঝে রাজশাহীর একটি মানবাধিকার সংগঠন আমলে নিয়েছেন তারা বলছেন আমরা অনেকদিন যাবত এই ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধান করছি খুব তাড়াতাড়ি আমরা একটি পদক্ষেপ গ্রহন করব।

এই ধরণের সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button