গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ
পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করতে না পেরে হবু বরকে (পাত্র) মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মিল্টন নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইফতে খায়ের আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য (মেম্বার) প্রদীপ এক্কা (৪২) পাশের পূজাতলা গ্রামের এক কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু মেয়ের বাবা তাতে রাজী না হয়ে পাশের চৌদুয়ার গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন প্রদীপ এক্কা।
পরে ২ মার্চ মিল্টন নামের এক যুবকের মাধ্যমে ৯ বোতল ফেনসিডিল ও ১০০ গ্রাম হেরোইন ওই কিশোরীর হবু বরের বাড়িতে রেখে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ তাকে আটক করে মিল্টনের দেখানো স্থান থেকে মাদকগুলো উদ্ধার করেন।
এতে সন্দেহ হয় গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিনের। তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে মিল্টনকে থানায় ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মিল্টন ওই যুবককের বাড়িতে মাদক রেখে তাকে ফাঁসানোর কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় মিল্টনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পরিস্থিতি টের পেয়ে প্রদীপ এক্কা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় মিল্টন ও মেম্বার এক্কাকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গোদাগাড়ী থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতার মিল্টনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।