দূর্গাপুররাজশাহীরাজশাহী সংবাদ

দুর্গাপুরের রিয়াজুল চেয়ারম্যানের নেপথ্যে কারা

দুর্গাপুর প্রতিনিধিঃ  

অনিয়ম আর অপরাধের শীর্ষে এখন দুর্গাপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ। পরিষদের বাতাশ ভারি করে তুলেছেন চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এই পর্যন্ত ডজন ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়নের শতাধিক ব্যক্তি এই বিতর্কিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েও কোন সুফল মিলছেনা। চেয়ারম্যানের অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়ন বাসির অভিযোগ কয়েকটি দপ্তরে জমা হলেও এখনো বহাল রয়েছেন চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম।

কিছুদিন পুর্বে পুকুরের জমি দখলকে কেন্দ্রকরে আলোচনায় আসেন তিনি। নিজের ইউনিয়নে একটি পুকুর অবৈধ ভাবে দখল করাকে কেন্দ্রকরে স্থানিয়রা মানববন্ধন করেছিলেন রিয়াজুলের শাস্তির দাবিতে।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর পর্যন্ত অভিযোগ করেছিলেন এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। সকল  তদন্ত থমকে গেছে অজ্ঞাত কারণে। সুত্র বলছে নারী কেলেংকারীর শক্ত অভিযোগ রয়েছে এই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। মাত্র কয়েকদিন পুর্বের পুকুর দখলের অভিযোগের রেষ না কাটতেই সম্প্রতি  তিনি আরেকটি ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। এবার মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও গরীব দুঃস্থদের মাঝে বরাদ্ধকৃত চাল হরিলুট করে আবার আলোচনার শীর্ষে উঠেছেন।

গত ১১ সেপ্টেম্বর এই ঘটনা প্রকাশ পেলে স্থানিয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃস্টি হয়। স্থানিয়রা গণমাধ্যম কর্মীদের ভিডিও সাক্ষাতকারে বলেন পুর্বে বিভিন্ন অযুহাতে সরকারি অর্থ লোপাট করেছেন চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম। সরকারি অর্থে তার নিজ পুকুরে যাওয়ার রাস্তা করণ, ভিজিডি, ভিজি এ্‌ফ, বরাদ্ধে অনিয়ম, যেন লেগেই থাকে তার কর্মে। পরিষদের ডজন ইউপি সদস্য চেয়ারম্যানের অপকর্মের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বলেন তার নারী ঘটিত কিছু বিষয় রয়েছে সেগুলো আপনারা সংবাদ প্রকাশ করলে সে এলাকায় মুখ দেখাতে লজ্জা পাবে।

মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও গরীব দুঃস্থদের চাল লোপাটের বিষয় নিয়ে জানতে চেয়ে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ফোন করলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। তবে চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রেন্টুর নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠার পরেও কেন বহাল রয়েছেন সেই সাথে কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি ,সকল বিষয় নিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন  রাজশাহীর একজন গণমাধ্যম কর্মী।

তিনি বলেন, রিয়াজুল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতার অনুসন্ধানে আমরা কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী  দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছিলাম। তিনি সাক্ষাতকার না দিয়ে  ফোন বন্ধ করে দেন। তিনি বলেন তার বিরুদ্ধে ওঠা অধিকাংশ অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কারণে জন স্বার্থে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে।

এই ধরণের সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button