ঔষধ ও খাদ্য সংকটে মারা গেলো আড়াই হাজার মুরগি: খবর নেয়নি কেউ
মোহনপুর প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার গোপোইল গ্রামে ঔষধ ও খাদ্য সংকটের কারণে এক সপ্তাহে আড়াই হাজার সোনালী জাতের (কক্) মুরগি অসুস্থ্য হয়ে মারা গেছে।
গতকাল বুধবার মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার গোপইল গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে খামারির সাথে কথা বলে জানা গেছে, খামারের নাম ”আদর্শ মুরগি খামার “ এই খামার মালিক প্রায় ১৫ বছর ধরে খামার করে আসছেন । এই খামার গুলোতে বিভিন্ন জাতের মুরগি পালন করেন। মাত্র কিছুদিন আগে তিনটি খামারে তিনি প্রায় ৫ হাজার সোনালী জাতের (কক্) মুরগির বাচ্চা খামারে তোলেন।
প্রতিদিন তিন খামারে খাদ্য লাগে ১৫০ কেজি। হঠাৎ করে করোনা ভাইরাসের কারণে যানবাহন বন্ধ থাকায় ওষুধ ও খাদ্যের সংকট দেখা দেয়। হাট বাজারে গিয়ে কোন প্রকার মুরগির খাদ্য না পাওয়ার কারণে খাবারের অভাবে অসুস্থ্য হয়ে গত ৭ দিনের মধ্যে আড়াই হাজার মুরগি মারা গেছে। অবশিষ্ট মুরগি গুলোও অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে।
খামার মালিক শামসুর রহমান বলেন, আমি মাত্র কিছুদিন আগেই পাঁচ হাজার মুরগির বাচ্চা খামারে উঠাই। আর কয়েক দিনের মধ্যে আড়াই হাজার মুরগি মারা গেছে। প্রতিটি মুরগির ওজন হয়েছিল প্রায় এক কেজি করে। করোনার এই বিপর্যয় না আসলে প্রতিকেজি মুরগি বিক্রয় হতো ১৭০/১৮০ টাকা কেজি দরে। তাতে করে অনুমানিক পৌনে ৪ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
খামার মালিক অবশিষ্ট মুরগি নিয়ে চরম বিপাকের মধ্যে রয়েছেন। খামারের উপর বর্তমানে কৃষি ব্যাংক থেকে ৪ লাখ ও বেসরকারি এনজিও গ্রামীণ শক্তি থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋন নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি ঋনের টাকা ও পরিবার নিয়ে চরম বিপাকের মধ্যে রয়েছেন। খাদ্য এবং ওষুধ সংকটের কারণে এই মুরগি গুলো মারা গেল। কেউ খোঁজ খবর নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে খামার মালিক শামসুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত কেউ কোন খোঁজ খবর নেয়নি।
এবিষয়ে মোহনপুর উপজেলা পশু ও প্রাণী সম্পদ অফিসারের ফোন নম্বরে একাধিবার ফোন দিলে, ফোন খোলা থাকলেও তিনি ফোন রিচিভ করেননি।