সংবাদ সারাদেশসারাদেশ

গাজীপুরে হত্যার দায়ে ৭ জনের যাবজ্জীবন

গাজীপুরে স্কুলছাত্রকে হত্যার দায়ে ৭ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. বাহাউদ্দিন কাজী এ রায় প্রদান করেন।রায়ে প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সেলিম (২২), আব্দুল্লাহ আল মামুন (১৯), মো. তানজিল (২৪), শাহ আলম (২৯), মো. রিপন মিয়া (৩০), মো. মিলন খন্দকার (২৪) ও শফিকুল ইসলাম (২২)। রায় ঘোষণাকালে আব্দুল্লাহ আল মামুন, সেলিম, রিপন খন্দকার ও মো. তানজিল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। শাহ আলম এবং মিলন খন্দকার জামিন নিয়ে পলাতক এবং শফিকুল ইসলাম মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।

এ বিষয়ে আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মো. সোহেল পার্শ্ববর্তী চায়ের দোকানের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে আর বাড়ি ফিরেনি। পরদিন সোহেলের বাবার মোবাইলে কল দিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তি সোহেলের সন্ধান দানের জন্য ১লাখ টাকা দাবি করেন। ১০ ডিসেম্বর সকালে জয়দেবপুর থানার লুটিয়ারচালা গ্রামের মিনারদাগ এলাকার গজারী বনের ভেতর ছেলের লাশ পড়ে থাকার খবর পায় তার বাবা। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফজলুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, অজ্ঞাতনামা খুনিরা অজ্ঞাত কারণে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তার ছেলে মো. সোহেলকে বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী দোকানে যাওয়ার পথে কৌশলে ডেকে নিয়ে মারধর করে। পরে গলায় প্লাস্টিকের সুতলী পেঁচিয়ে হত্যা করে। হত্যার রহস্য গোপন করার জন্য মরদেহ ঘটনাস্থল লুটিয়ারচালা এলাকার মিনারদাগ গজারী বনের ভেতরে ফেলে পালিয়ে যায়।

মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মোহাম্মদ হাসান তদন্তের পর ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ঐ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত ঐ সাত আসামিকে সাজা প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি মাহবুব আলম মামুন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট লাবিব সিদ্দিকী।

এই ধরণের সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button