শুভ জন্মদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জাতীয় ডেস্কঃ
স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে হেঁটে চলা দেশের দূরদর্শী, বলিষ্ঠ নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাঁটতে হাঁটতে পার করে দিয়েছেন ৭৪ বছর। চুয়াত্তর বছরের সবটুকু ন্যস্ত করেছেন দেশ মাতৃকার জন্য। আজ তাঁর ৭৫ তম জন্মদিন, শুভ জন্মদিন উন্নয়নের কান্ডারি শেখ হাসিনা।
শৈশব থেকেই তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক-সংগ্রামী জীবনকে দেখেছেন। রাজনীতি শেখ হাসিনার জন্ম সূত্রে পাওয়া এক উত্তরাধিকার। এই ৭৪ বছরের মধ্যে অর্ধেকের বেশি সময় ধরে নৌকা নামের একটি প্রতীকের হাল ধরে আছেন। সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের। জীবনের প্রায় সিকিভাগ পার করে দিয়েছেন সরকারপ্রধান হিসেবে দেশের হাল ধরে।
১৯ বার তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। মৃত্যু ভয়কে পায়ের ভৃত্য করে ক্লান্তিহীন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দেশ মাতৃকার জন্য। এখন জীবনের একটাই প্রত্যয়- জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া। সে প্রত্যয় নিয়েই এগিয়ে চলছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের এই দিনে মধুমতি নদী বিধৌত গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শৈশবকাল কাটে পিত্রালয়ে। ৫৪-এর নির্বাচনের পর শেখ হাসিনা বাবা-মার সঙ্গে ঢাকায় চলে আসেন। রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রজীবন থেকে প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন তিনি। শুধু জাতীয় নেতাই নন, তিনি আজ তৃতীয় বিশ্বের একজন বিচক্ষণ বিশ্বনেতা হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন নতুন ভূমিকায়। ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে ‘বিশ্ব মানবতার বাতিঘর’ হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছেন বিশ্ব নেতাদের কাছ থেকে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রাজনৈতিক পথপরিক্রমায় ছাত্রনেত্রী থেকে জননেত্রীতে পরিণত হওয়া শেখ হাসিনার জন্মদিন পালিত হবে অতি সাধারণভাবেই। প্রতি বছর রাষ্ট্রীয় কাজে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদানের জন্য জন্মদিনের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই থাকতে হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এবারও তিনি দেশের বাইরে রয়েছে রাষ্ট্রিয় কল্যাণে।
১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের পর ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলীয় প্রধানের দায়িত্ব নেন শেখ হাসিনা। এরপর তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে দেশের এই প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিয়ে রাজনীতির মূল স্রোতধারার প্রধান নেতা হিসেবে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।