বড়াইগ্রামে ধসে দেবে পড়েছে নির্মাণধীন ফুট ওভার ব্রীজ
মনজুরুল ইসলাম নাটোর প্রতিনিধিঃ
নাটোরের বড়াইগ্রামে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় পানির স্রোতে নির্মাণাধীন একটি ফুটওভার ব্রিজের গাইডওয়াল ধসে দেবে পড়েছে। ২৩ জুলাই শুক্রবার বিকালে উপজেলার নেংটাদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ তদারকির অভাব ও ঠিকাদারের অনিয়মের কারণেই এমনটি ঘটেছে বলে স্থানীয়দের দাবী ।
জানা গেছে, নেংটাদহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বড়াল নদীতে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে একটি ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ কাজ চলছে। ৩৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নাটোরের ঠিকাদার আজিজুল ইসলাম এ ব্রিজটির নির্মাণ কাজ করছেন। কিন্তু কোন প্রকার পাইলিং ছাড়া নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে নির্মাণ কাজ করায় ব্রিজটি নিয়ে শুরু থেকেই স্থানীয়দের অভিযোগ ছিলো। শুক্রবার বিকালে হঠাৎ করেই নদীতে প্রবাহমান পানির স্রোতে ব্রিজটির উত্তরাংশের গাইডওয়ালটি ধসে দেবে পড়ে।
আজ শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজটি নির্মাণের সময় লোকজনের চলাচলের জন্য নদীর মধ্য দিয়ে মাটি ফেলে একটি পায়ে হাঁটা রাস্তা করা হয়েছিল। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নদীতে পানির পরিমাণ বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে পানির চাপে মাটির রাস্তা ভেঙ্গে স্রোতের সৃষ্টি হলে পাইলিংবিহীন ব্রিজটির গাইডওয়াল সহ উত্তরাংশ ধসে দেবে যায়। এ সময় স্থানীয়রা জানান, মাটির নীচে ৮ থেকে ৯ ফুট গর্ত করে ঢালাই দিয়ে পিলার করা দরকার ছিলো, কিন্তু তা না করে মাটির ফুট খানেক নীচ থেকে ঢালাই দিয়েছে। এ ছাড়া নিম্নমানের রড ব্যবহার করা হয়েছে, তাও পরিমাণে কম দিয়েছে। আমরা শুরু থেকেই প্রতিবাদ করেও কোন লাভ হয়নি। নিম্নমানের কাজের কারণেই ব্রিজটি ভেঙ্গে দেবে পড়েছে। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার আজিজুল ইসলামের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার মোবাইলে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বড়াইগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঠিকাদারকে নদীর পানি শুকিয়ে গেলে নতুনভাবে ওই গাইডওয়ালটি তৈরী করে দিতে বলেছি। ঠিকাদার কাজ বুঝিয়ে না দিলে তাকে কোন বিল দেয়া হবে না ।