১৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এলো মিয়ানমার থেকে
সংবাদ চলমান ডেস্কঃ
মহামারি করোনার ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর চতুর্থ দফায় মিয়ানমার থেকে একদিনে ১৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ টেকনাফ স্থলবন্দরে এসে পৌঁছেছে।
গতকাল বুধবার সকালে একটি ট্রলারে পেয়াঁজগুলো স্থলবন্দর ঘাটে এসে পৌঁছায়। এর আগে সর্বশেষ চলতি মাসের শুরুর দিকে এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের ট্রলার আসে। গত সেপ্টেম্বর ও চলতি মাসে মিয়ানমার থেকে নৌপথে চতুর্থ দফায় ১৩২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। তিনি বলেন,গত বুধবার একদিনে একজন ব্যবসায়ী মিয়ানমার থেকে ১৯ দশমিক ১২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমাদানি করেছেন। আমদানিকৃত এসব পেঁয়াজ ট্রলার থেকে খালাস করা হয়েছে।
টেকনাফ শুল্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমার থেকে এ বন্দর দিয়ে গত বছরের আগস্টে ৮৪ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বরে তিন হাজার মেট্রিক টন, অক্টোবরে ২০ হাজার মেট্রিক টন, নভেম্বরে ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এছাড়া চলতি বছরের জুলাইয়ে আমদানি করা হয় ৮৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। সেপ্টেম্বরে ৫৭ দশমিক ২০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।
সর্বশেষ ৫ অক্টোবর সোমবার ৫৬ দশমিক ৭০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ এসেছে।টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানিকারক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, মিয়ানমার থেকে বুধবার সকালে ১৯ দশমিক ১২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছি। আমদানিকৃত পেঁয়াজ ট্রলার থেকে খালাস করা হয়েছে।
স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন বলেন, জুলাইয়ের শুরুর দিকে মংডু-আকিয়াব বন্দরে করোনারোগী শনাক্ত হওয়ায় মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ ছিল।আড়াই মাস পর মিয়ানমার থেকে চতুুর্থ দফায় বুধবার সকালে একটি ট্রলারে ১৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ দ্রুত সময়ে খালাস করা হয়েছে বলে জানাগেছে।