লক্ষ্মীপুরে দুই সন্তানকে পুড়িয়ে মারলেন বাবা
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরে ঘুমন্ত স্ত্রী-ছেলে এবং মেয়েকে ঘরে আটকে রেখে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কামাল হোসেন (৪০) নামে এক অটো চালকের বিরুদ্ধে। এতে তার ৭ বছর বয়সী মেয়ে আয়েশা আক্তার ও ৩ বছর বয়সী ছেলে আবদুর রহমান দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারকে (৩৪) উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কামালকে আটক করেছেন পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান এ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এর আগে, ভোররাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বশিকপুর গ্রামের পুরান চতইল্লার বাড়িতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। আটক কামাল, ঐ গ্রামের আমিন উল্ল্যাহর ছেলে সে পেশায় অটোরিকশা চালক।
স্থানীয় বাসিন্দা মাহফুজ আলম জানান, কামাল মাদক সহ কয়েক বার পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। মাদক সেবন নিয়ে স্ত্রী সুমাইয়ার সঙ্গে প্রায়ই তার ঝগড়া হতো। ঘটনার সময় স্থানীয়রা চিৎকার শুনে ছুটে এসে আগুন নেভান। এর আগেই কামালের মেয়ে আয়েশা আগুনে পুড়ে মারা যান। দগ্ধ হন তার স্ত্রী সুমাইয়া ও ছেলে আব্দুর রহমান।
এমন ঘটনা নিয়ে বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বলেন, কামাল ঘরে স্ত্রী-সন্তানকে আটকে রেখে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে তার স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে আগুনে দগ্ধ হয়। এরমধ্যে তার মেয়েটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়। দগ্ধ অবস্থায় স্ত্রী এবং ছেলেটিকে প্রথমে সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ছেলেটিও।
এ বিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দগ্ধদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন কামাল। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।