অ্যাসাইনমেন্ট দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হলো চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী
অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে গিয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক মাদরাসাছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই মাদরাসা সুপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গত সোমবার খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে।
বুধবার এ ঘটনায় ভিকটিমের নানি বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। পুলিশ ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
অভিযুক্ত মাদরাসা সুপারের নাম মো. হাবিবুর রহমান। তিনি পাইকগাছা উপজেলাধীন লস্কর-পাইকগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার এবং কয়রা উপজেলার খিরোল গ্রামের আবদুল হাকিম সরদারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, হাবিবুর রহমান পাইকগাছা উপজেলাধীন লস্কর-পাইকগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার হিসেবে প্রায় দেড় বছর ধরে চাকরি করছেন।
গত সোমবার মাদরাসার পাশে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর বাড়িতে যায় হাবিবুর রহমান এবং তাকে অ্যাসাইনমেন্ট আনার কথা বলে চলে আসে।
পরে সেদিনই মেয়েটি অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে মাদরাসায় গেলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে হাবিবুর তাকে নিজের শয়নকক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে।
মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরলে মেয়ের নানি এলাকাবাসীর সহায়তায় থানায় বিষয়টি জানায়।
এর পর পাইকগাছা থানার ওসির নির্দেশে মাদরাসার সুপার হাবিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের নানি বাদী হয়ে বুধবার পাইকগাছা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পুলিশ ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
অভিযুক্ত মাদরাসার সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।
পাইকগাছা থানার ওসি এজাজ শফী জানান, ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসা সুপারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।