রাজশাহীর পদ্মা নদীতে পানিউন্নয়ন বোর্ডের ভেলকি বাজি
স্টাফ রিপোর্টারঃ
এ যেন মগের মুল্লুক, দেখার বা বলার কেউ নেই , ইচ্ছেমত সিমেন্ট বালি বস্তায় ভরে লোক দেখানো এক পদ্মানদী রক্ষাকরার চেস্টা করছে পানি উন্নয় বোর্ডের কর্ম কর্তারা। স্থানিয়রা জানিয়েছেন প্রতি বছর পদ্মার বুকে এমন নাটক করে থাকেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাবুরা।
আর এমন নাটকের জন্ম দিয়ে হাতিয়ে নেন সরকারের নিকট থেকে মোটা অর্থ। এই নিয়ে সুশিল সমাজ বলছেন যদি বন্যার আগেই অথ্যাৎ স্রোতের পূর্বেই কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হত তাহলে সরকারের গচ্ছিত অর্থ গুলো নস্ট হতনা। তবে রাজশাহীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কোহিনুর আলমের উদাসিনতায় এমন ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে । তিনি রাজশাহীর স্থানিয় মানুষ দাবী করেন ও সরকার দলীয় ব্যক্তির নাম ভাঙ্গিয়ে করে থাকেন যত অনিয়ম। রাজশাহী পাউবোতে কোহিনুর আলম বলেই শেষ কথা ।
কোন অফিসার তার কথায় না চললে তাকে বিন্দাবনের মত কায়গায় বদলি নিতে হয়। অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তা অফিসে আসলেই বসেন ঠিকাদারদের নিয়ে বৈঠকে। তার এই বৈঠক যেন প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের চেয়েও বেশী গুরুত্বপুন । শুধু অবৈধ টাকা ভাগ বাটোয়ারাই এই প্রকৌশলীর কাজ। তিনি কোন কাজে কত টাকার অনিয়ম করেছেন কোন কোন অনিয়মের কাজ চলমান রয়েছে তা খুব শীঘ্রই তা প্রকাশ করা হবে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা সংবাদ চলমানে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাউবোর একজন ঠিকাদার বলেন এই নিবাহী প্রকোশলী কাউকে কিছু পরোয়া করেনা তিনি প্রকাশ্যেই বলেন এমন গুরুত্বপুর্ণ জায়গায় আসতে আমার অনেক কাঠ খড়ি পোড়াতে হয়েছে । তিনি সাংবাদিকদের সমন্ধে বাজে মন্তব্য করে বলেন দুই এক কলম লিখে নিজের আবেগ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই হবেনা।
তিনি প্রতিবেশী জেলা চাঁপাই নবাবগঞ্জের প্রকৌশলীর কথা উল্লেখ করে বলেন তার উপর দেশের প্রথম শ্রেনির পত্রিকায় অনিয়মের সংবাদ ছাপা হয়েছে তাতে কি হয়েছে বরং তার পদোউন্নতি হলো এবার। রাজশাহীর মত গুরুত্বপুর্ণ জায়গায় বসে একের পর এক অনিয়মের পসরা বসিয়ে কিভাবে চালিয়ে যাচ্ছে তার রমরমা ব্যবসা সেটি এখন সুশিল সমাজের নিকট প্রশ্নবিদ্ধ।তার অনিয়মের বিষয়ে জানতে চেয়ে তাকে একাধিকবার ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।