মক্ষীরানি লিজার নতুন কৌশলের শিকার ৪ আসনের এম.পি
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজশাহীতে মিললো আরেক পাপিয়া। এবার এই পাপিয়ার বিষাক্ত ছোবলে রাজশাহী ৪ আসনের এমপি এনামুল হক।
রাজশাহীর কথিত মক্ষীরানি আয়েশা আক্তার লিজা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সম্প্রীতি তার প্রতারণার ফসল হাত ছাড়া হওয়ায় এখন সে আরো বেপরোয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, আয়েশা আক্তার লিজা রাজশাহী নগরীর তেরখাদিয়া এলাকার চাঁদ মিয়ার মেয়ে। সম্প্রীতি রাজশাহীর একজন সংসদ সদস্যের সুনাম নষ্ট করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
মক্ষীরানি লিজা নিজের কু-কর্ম ঢাকতে রাজশাহীর একজন এমপির সাথে বিয়ের নাটক করে আসছে বেশ কিছু সময় ধরে। অবশেষে এমপিকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করতেও বাধ্য করে ওই নারী। আয়েশা আক্তার লিজা নামের ওই নারীর মূল কাজ হচ্ছে সমাজের নামি দামী লোকজনের সাথে বিভিন্ন কৌশলে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলা। সেই সম্পর্কের জেরধরে তাদের সাথে বিভিন্ন ভাবে ছবি উঠানো। এরপর তাদের ফাঁসাতে সেই ছবিগুলো ব্যবহার করা হয়। এভাবে সে রাতারাতি কোটিপতিও বুনে গেছেন। যেকোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো আয়েশা আক্তার লিজার ব্যবসার এ এক নতুন কৌশল। বন্ধুত্বের সম্পর্কে উঠানো ছবি হয়ে উঠে তার অর্থ উপার্জনের মূল হাতিয়ার। বিভিন্ন ভাবে উঠানো ছবি দিয়ে শুরু হয় সমাজের নামিদামী মানুষগুলোকে বোকা বানিয়ে অর্থ উপার্জনের মোক্ষম হাতিয়া। তারপর “হয় টাকা না হয় বিয়ে এমন কৌশল অবলম্বন করে আসছে বহু দিন ধরে। লোকলজ্জার ভয়ে অনেকে গোপনে অর্থ দিয়ে তার সাথে ছবি উঠানোর বিষয়টা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। আর এই নতুন কৌশলের সফর সঙ্গি রয়েছে কিছু ডট কম সাংবাদিক । এভাবে সে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি থেকে শিল্পপতিদের প্রতারণার জালে ফাঁসায় সে।
আমরা জানি, ফেমাস কোন ব্যাক্তি দেখলে অনেকে তার সাথে সেলফি তোলা বা ফটো সেশন করতে পছন্দ করে বা করে থাকে। আর এই ফটোর জালে আজ রাজশাহীর গনমানুষের জনদরদী নেতা এমপি এনামুল। কিছুদিন আগে এই নেতার সাথে ব্ল্যকমেইল করে বেশকিছু ছবি উঠায় লিজা। সেই ছবি ব্যবহার করে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য করায়। পরে সংসদ সদস্য নিজের ইজ্জত বাঁচাতে অবশেষে লিজাকে ইসলামী সরিয়া মোতাবেক বিয়েও করেন। তবে সেই বিয়ে বেশিদিন স্থায়ীত্ব লাভ করেনি। কারণ লিজর বেপরোয়া আচারণে বাধ্য হয়ে দেশের আইন অনুযায়ী লিজাকে তালাক (ডিভোর্স) দিয়েছেন সংসদ সদস্য । শেষমেষ প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করে আয়েশা আক্তার লিজা নামের ওই নারী। গত কয়েকদিন থেকে প্রতারণার এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে ফেসবুকে বিভিন্ন স্ট্যাটাসও দিচ্ছে। তবে সংসদ সদস্যের দাবি, তিনি লিজার চাঁদাবাজি ও ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে বিয়ে করেছেন।
এদিকে ২০১৮ সালের ১১ মে লিজার সাথে বিয়ে রেজিস্ট্রি হয় এমপির । লিজা ওই এমপির বিরুদ্ধে বিয়ের নামে তার সঙ্গে প্রতারণার মিথ্যা অভিযোগ করছে তোলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। লিজার অভিযুক্ত এমপি এই প্রতিবেদক কে জানান, আমি বিয়ে করেছিলাম এবং বাংলাদেশের আইন মোতাবেক তাকে ডিভোর্স দিয়েছি। দেনমোহর পরিশোধ করেছি। আমার রাজনৈতিক ও সামাজিক সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতেই আমি তাকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য হয়েছি । এরপরও যদি তার কোন বক্তব্য থাকে তাহলে সে আইনী আশ্রয় নিতে পারে। সাংসদের অভিযোগ আমার ছবি ফেসবুকে দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করেছে। চাঁদাবাজি করে রাজশাহীতে ৫ তলা বাড়ি করেছে। চরিত্রহীন একটা মেয়ে লিজা যা আমার আগে জানা ছিলনা। এছাড়াও সে অনেক চাঁদাবাজি করেছে। ব্ল্যাকমেইল করে আমাকে বিয়ে করেছে। অপর দিকে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে এর আগে লিজার আরো ৫-৬ জন কে প্রতারণা করে বিয়ে করতে বাধ্য করেছিলো। প্রতারণার অভিযোগে কারাভোগও করেছে লিজা। তাছাড়া মাদক পাচারের সাথেও সে জড়িত। এর সবকিছুই প্রমাণ সংশ্লিষ্ট থানায় পাওয়া যাবে। পরবর্তিতে পাপিয়া নামধারি এই লিজার আরো নতুন কৌশল ও তথ্য নিয়ে হাজির হবো। চোখ রাখুন সংবাদ চলমানে……..