ইটভাটার শ্রমিক থেকে সাংবাদিক নাম ব্যবহার করা সেই সাহাজামালের উত্থান
মাজহারুল ইসলাম চপলঃ
রাজশাহীর দুর্গাপুরের সাংবাদিক নাম ব্যাবহার করা সেই শাহজামালের অজানা তথ্যের সন্ধানে এখন প্রশাসনের বিশেষ টিম ও ক্রাইম রির্পোটের সাংবাদিকরা । তথ্য নিয়ে জানা যায়,দেবীপুর মুন্নাপাড়া গ্রামের ছিদ্দিকের কুলাঙ্গার চাঁদা বাজ ছেলে শাহাজামালের অপকর্মের তথ্য সংগ্রহের জন্য ২এপ্রিল বৃহষ্প্রতিবার একদল মিডিয়া কর্মী গেলে, শাহাজামাল ও তার মাদক আসক্ত বাহিনী মিডিয়া কর্মীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানির চেস্টা করেন।
পরে স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে শাহাজামাল দুর্গাপুর বাজার থেকে পালিয়ে যায়। সরে জমিনে শাহাজামালের বিষয়ে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে কিছু চমক পদক তথ্য।
দেবীপুর গ্রামের ইটভাটার মালিক বাদলের ইটভাটায় দিন মজুর শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন এই শাহাজামাল, সেই সুবাদে ভাটার মালিক বাদল সরকারি অর্পিত ৩ শতক জমিতে তাকে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। পরে আরো ৪ শতক জমি ইটভাটায় কাজ করে কিনেন এই শাহাজামাল।
এই ৭ শতক জায়গা বাড়ির ভিটা নিয়ে বর্তমানে দুর্গাপুর জনতা ব্যাংকে রেখেছেন লক্ষাধিক টাকা যা এলাকাবাসী কে ভাবিয়ে তুলেছে। অভিযোগ রয়েছে দেবীপুর গ্রামের একটি চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ীর সাথে রয়েছে তার বিশেষ সখ্যতা। কিছু দিন পুর্বে মোহনপুর থানায় আটক হয়েছিলেন সেই মাদক ব্যবসায়ী, তাকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে রাতেই মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই শাহাজামাল।
তবে আংরার বিলের একাধিক পুকুর খনো খনন চলছে তার নামের উপর বলে অভিযোগ রয়েছে। কিছু দিন পুর্বেও সাইকেল নিয়ে ঘোরা ফেরা করত এই শাহাজামাল, হটাৎ করে অবৈধ পুকুর খননের টাকায় গাড়ি কিনে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিতে শুরু করেছে। এই নিয়ে দুর্গাপুরের প্রকৃত সাংবাদিকদের মাঝে দেখা দিয়েছে বিরুপ প্রতিক্রিয়া।
এই নিয়ে দুর্গাপুরের সিনিয়র সাংবাদিক গন বলেন, প্রকৃত সাংবাদিকতা থুবড়ে পড়ছে এমন দালালের কারনে, তারা আরো বলেন এই দুর্যোগ সময় শেষ হলে আমরা লিখিতভাবে অভিযোগ দেব সংশ্লিষ্ট দপ্তরে, যেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
আইনশৃংখলা বাহিনীর যারা তদন্ত করছে তাদের কাছে আমাদের বিশেষ অনুরোধ যেন তার সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে দ্বায়ীত্বরত একজন সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, কোন সাংবাদিক পরিচয় দান কারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি অনিয়মের প্রমানের সত্যতা আসে তাহলে তার সাজার পাল্লা আরো ভয়ানক হবে।