নাটোর প্রতিনিধিঃ
নাটোরের লালপুরে সম্প্রতি ভিজিএফের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমান হয়ার পরেও সংবাদ সম্মেলন করেছেন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান তার বিরুদ্ধে জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন গনমাধমে সংবাদ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ভুক্তভুগীদের অভিযোগটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে রহস্যময়ী সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি ।
লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা। আজ শনিবার(১৯ জুন) দুপুরে আড়বাব ইউনিয়ন পরিষদ সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার বিরুদ্ধে গত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি বরাদ্দকৃত জিআর ও ভিজিএফের নগদ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মুখোরচক অস্বীকার করেন। চেয়ারম্যান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০২০-২১ অর্থ বছরে গত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে গরিব দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে ৫০০ শত টাকা করে ৫০০ টি পরিবারের মাঝে ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং একই সাথে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৪৫০শত টাকা করে ১৫৪১ টি পরিবারের মাঝে ৬ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে ।
সুষ্ঠুভাবে বিতরনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য ও ত্রাণ কমিটির সকল সদস্যের সাথে নিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে তালিকা প্রণয়ন করার দাবিকরেন তিনি। এছাড়াও এ তালিকাটি সরকারীভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দ্বারা যাচাই করা হয়। তালিকা মাফিক স্বচ্ছতার মাধ্যমে গত ১২ মে বিতরণ করা হয় । তিনি মাননীয় সংসদ সদস্য কে দায়ীকরে বলেন আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ স্থানীয় সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুল সমর্থিত কিছু আওয়ামীলীগ নেতারা জোরপূর্বক জনৈক জামাত আলী, আবু তাহের ও মোহাম্মদ আলীর কাছে সাক্ষর নিয়ে তালিকায় নাম থাকলেও ভিজিএফের নগদ অর্থ পায়নি মর্মে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করায়। যা সম্পন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। ইতিমধ্যে অভিযোগ কারীরা তাদের অভিযোগ করেছেন ।
তবে অভিযোগকারীরা আবু তাহের, জামাত আলী ও মোহাম্মদ আলী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না। অভিযোগারী জামাত আলীর সাথে গনমাধ্যমকর্মীরা মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন সংবাদ প্রকাশের পর আমি টাকা পেয়েছি। অপর দুইজনের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ার কারণে তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। অপর দিকে সংবাদ সম্মেলনের নামে সংসদের নামে বদনাম করার বিষয়টি ভিন্ন ভাবে দেখছেন স্থানীয়রা। অনেকেই বলছেন এই ইউপি চেয়ারম্যান অনিয়মের পাশাপাশি মাদক সেবনের সাথেও জড়িত তার ডোপ পরিক্ষার দাবি জানান আড়বাব ইউনিয়ন বাসিরা।
গস্থানিয়দের দাবি গোলাম মোস্তফা এলাকায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জটিল অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়ে। সরকার বিরোধী কার্যকলাপের সাথে জড়িত থাকার ও অভিযোগ রয়েছে এই বিতর্কিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা আর বলেন এই অনিয়মের বিষয় নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত অভিযোগ দেওয়া হবে এমন দুর্নীতিবাজ চেয়ার ম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি নিয়ে ।