চাপাইনবাবগঞ্জসংবাদ সারাদেশ

আক্রোশের শিকার হয়ে দীর্ঘ ৭ বছর বেতন বঞ্চিত চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের –মামুন

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ

দীর্ঘ ৭ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদে চাকরি করে কোন বেতন পাননি এমন একজন মানুষ তার নাম মামুন। তিনি  চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদে ৭ বছর আগে নাজির পদে যোগদান করেন। তবে যোগদানের পর মাত্র ১ মাস ১৮ দিনের বেতন উত্তোলন করে। অনুসন্ধানে জানাগেছে অজ্ঞাত কারনে সেই সময় নিয়োগ প্রক্রিয়া কালেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের এডিসি তাজফিরুল জামান এই নিয়োগের বিরোধিতা করেন। তবে কি কারনে তিনি এই নিয়োগের বিরোধিতা করেন সেটি এখনো ক্লিয়ার ভাবে জানেনা বেতন বঞ্চিত মামুন।

তিনি এরই মাঝে পদন্নতি নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের হিসাব রক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। মামুন বলেন নিজের বৈধতা সহ সরকারি বেতন ভাতা বুঝিয়ে পেতে আমি মহামান্য হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছি। তিনি বলেন আমার নিয়োগের সময় একটি পক্ষের হয়েই আমার উপর এমন অমানবিক কাজ করা হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের সাথে যারাই জড়িত থাকুক তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি ও জানান তিনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের একজন পদধারি ব্যক্তি সংবাদ চলমানকে  বলেন , মামুন ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রান সে বিভিন্ন সময় এই জেলার আওয়ামী পরিবারের পাশে দাঁড়ানো সহ বি এন পি জামাতের দারা নির্যাতিত হয়েছেন বিভিন্ন সময়। তবে জেলা পরিষদের একাধিক সদস্য এই হিসাব রক্ষক মামুনের বিষয়ে বলেন তিনি হিসাব রক্ষক হিসাবে কর্মরত থাকলেও এই পরিষদের সদস্যদের নিকট তিনি একজন নিবেদিত প্রান। সকল শ্রেনির কর্মচারিদের সকল সুখে দুঃখে তিনি বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতাও করে থাকেন। এমন উদার মনের মানুষের বেতন ভাতা বন্ধের বিষয়টি পুরো জেলা পরিষদের কর্মচারীদের ভাবিয়ে তুলেছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়য়ের একটি সুত্র বলেন, মামুনের নিয়োগের বিষয় নিয়ে কোন আপত্তি থাকার কথানয় কারন সকল নিয়ম বৈধতা মেনেই মামুন চাকরিতে যোগদান করেছিল। সুত্রটি বলেন নেহাত তার উপর অমানবিক কিছু বিষয় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া বেতন ভাতা দেওয়ার পরে আবার বন্ধকরে দেওয়া একধরনের ষড়যন্ত্রের আভাসদেয়। নিয়োগ পক্রিয়া নিয়ে এমন লিকোচুরি খেলা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনার সৃস্টি করেছে। একজন মানুষ এই দীর্ঘ সময় বেতন ভাতা ছাড়া চাকরি করে কিভাবে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে সেটি সুশীল সমাজের নিকট প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এমন ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দিবেন না বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সদস্য। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন মামুনের বিষয়টি লিখিত আকারে এলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিষয়টি ছোটকরে দেখার কোন সুযোগ নেই বলেও জানান।

তিনি আরো বলেন, সংবাদ প্রকাশ সহ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা এর আগে থেকেই নেওয়া উচিত ছিল মামুনের। তাহলে পরিবার নিয়ে তাকে মানবেতর জীবন যাপন করতে হত না। এর পরে পুনরায় যেন এমন মামুনের মত কারো জন্ম না হয় চাকরির ভোগান্তিতে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের সকলের দাবি মামুনের উপরে ষড়যন্ত্রকারিদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। সেই সাথে তার সকল অধিকার বুঝে দেওয়া হোক। এই নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দৃস্টি আকর্ষণ করেছেন সুশীল সমাজ।

এই ধরণের সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button