ঈশ্বরদী প্রতিনিধিঃ
এবার ঈশ্বরদী উপজেলার সেই মাদক সম্রাট চঞ্চল এর খুঁটির জোর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, জনমনে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন প্রশ্ন । এই নিয়ে স্থানিয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে বিরুপ প্রতিক্রিয়া। অনুসন্ধানে একাধিক সূত্রে বেরিয়ে এসেছে ঈশ্বরদী উপজেলার মাদকের গডফাদার হিসেবে পরিচিত চঞ্চল দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।
জানা গেছে এই মাদক সম্রাট ঈশ্বরদী থানার মুশুরিয়া পাড়া ভাদু মীরধার নাতি । সে বৈবাহিক জীবনে ঈশ্বরদী মুশুরিয়া পাড়া এলাকায় বিমানের মেয়েকে বিয়ে করেন। তিনি পূর্ব নূরমহল বস্তি পাড়ার সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদার বাড়িতে ভাড়া রয়েছে। তার এই অবৈধ মাদক ব্যবসার অন্তরালে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য কে । অভিযোগ রয়েছে সেই সব অসাধু পুলিশ সদস্যের কারনেই এই মাদক ব্যবসায়ী ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে সরবক্ষন।
পুলিশ বা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে রেহাই পেলেও তাকে নিয়ে চলছে আলোচনার ঝড়। মাঝেমধ্যে পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালনা হলেও এই মাদক সম্রাট চঞ্চল ধরাছোঁয়ার বাইরে কেন থাকে এ প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের। অপরদিকে তার অন্যতম সহযোগী মাদক বিক্রেতা বস্তি এলাকার জনৈক পারভেজ ও সাগর নামক দুই জন যুবক রয়েছে তার সকল কাজের মুল হোতা হিসেবে। ঈশ্বরদীর শান্তিপ্রিয় সুশিল সমাজের মানুষ অবিলম্বে একাধিক মাদক মামলার অন্যতম আসামি চঞ্চল কে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মহলের নিকট।
উল্লেখ্য ঈশ্বরদী সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সূপার ঈশ্বরদী তে মাদক ব্যবসায়ী দের স্থান হবেনা এই ঘোষণাকে সাধুবাদ জানিয়ে অনেকেই বলেছেন অবিলম্বে এই মাদক সম্রাট কে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। পাবনা জেলা পুলিশের একটি সুত্র জানিয়েছেন পাবনার পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে মাদকের বিষয় নিয়ে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষনা রয়েছে সেখানে কিভাবে চঞ্চলের মত ব্যক্তিরা মাদকের মত ভয়াবাহ ব্যবসার সাথে জড়িত থাকে।
সুত্রটি বলেন তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।