রাজশাহীর চারঘাটে বাড়ছে রেলক্রসিং দুর্ঘটনা
চারঘাট প্রতিনিধিঃ
অসংরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ের কারণে রাজশাহীর চারঘাটে প্রতিনিয়ত ঘটছে ট্রেন দুর্ঘটনা। পুঠিয়ার বেলপুকুর থেকে বাঘার আড়ানী পর্যন্ত রেল লাইনের গুরুত্বপুর্ণ স্থানেই নেই কোন গেটম্যান। এতে প্রায়ই সময় ঘটছে রেল দুর্ঘটনা। এতে অনেক সময় রাজশাহীর সঙ্গে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ট্রেন বন্ধ থাকছে। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে একই স্থানে এই দুইবার ঘটলো রেল দুর্ঘটনা।
আজ ২৯ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলের দিকে রাজশাহী থেকে চিলাহাটি গামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি চারঘাটের শলুয়া ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া এলাকায় পৌছলে একটি নসিমনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ঘন্টা ব্যাপি রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলের দিকে রাজশাহী থেকে চিলাহাটিগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া এলাকায় পৌছালে অসংরক্ষিত রেল ক্রসিং পারাপারের সময় একটি নসিমন-ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে নসিমনটি চুর্নবিচুর্ন হয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই আটকা পড়ে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি। বন্ধ হয়ে যায় রাজশাহীর সঙ্গে বিভিন্ন রুট রেল যোগাযোগ। প্রায় এক ঘন্টার বেশী সময় পরে আবারো শুরু হয় ট্রেন চলাচল।
এলাকাবাসীর দাবি চারঘাটে প্রায় ১০ টি স্থান রয়েছে অসংরক্ষিত রেল ক্রসিং। ইতোপূর্বে নন্দনগাছী রেল লাইন থেকে মাত্র কয়েকশ গজ দুরে অসংরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ের কারনে একজন চেয়ারম্যান ও সচিব মৃত্যু বরন করলেও সেখানে অদ্যবধি দেয়া হয়নি কোন গেটম্যান। সাধারন দুর্ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের প্রানহানির ঘটনা ঘটলেও রেলে নেই কোন কার্য্যকর ব্যবস্থা। ফলে বেড়েই চলেছে রেল দুর্ঘটনার মত ঘটনা।
বিষয়টি সম্পর্কে সারদা রেল ষ্ট্রেশন মাষ্টার সাহানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনার কারণে একঘন্টা ধরে রাজশাহীর সঙ্গে সব রুটের রেল যোগ বন্ধ ছিল। তবে বর্তমানে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যে সকল স্থানে গেটম্যান নেই সে সকল স্থানে গেটম্যান দেয়ার বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।