সুনামগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ৭ শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় আচমকা ঘূর্ণিঝড়ে ৭শতর অধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু শান্তিগঞ্জ উপজেলায় অন্তত ৫ শতাধিক বাড়িঘর ও দোকান পাট লণ্ডভণ্ড হয়েছে। ঐ সময় শতাধিক গাছ ভেঙে সড়কে পড়ে যান চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি হয়। এদিকে ঝড়ের তাণ্ডবে পড়ে শান্তিগঞ্জ উপজেলায় দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে, তাদের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার কামরূপাদলং, সদরপুর, আস্তমা, তালুকগাঁও ও পশ্চিম পাগলা গ্রামেই অন্তত ৫ শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একইভাবে শান্তিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ২ শতাধিক বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড হয়েছে। মাত্র ৫ থেকে ৭ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে চোখের নিমিষেই বাড়িঘর গাছপালা ভেঙে পড়ে। মানুষজন তখনো ঘরের ভেতর ঘুমিয়ে ছিল। তারা কোনমতে পরিবার আর সন্তানদের নিয়ে ঘরের ভেতর থেকে প্রাণ নিয়ে বের হন। কিন্তু নিজের কোনো আসবাবপত্র, ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বের করতে পারেনি। এই ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে মানুষ ঘরবাড়ি সর্বস্ব হারিয়ে নি:স্ব হয়ে গেছে।
সদরপুর গ্রামের সাহাবুদ্দিন বলেন, কোনোমতে নিজের প্রাণ নিয়ে বের হয়েছি। পরে ঘরের ভেতর পরিবার ও বাচ্চারা কান্নাকাটি শুরু করলে তাদের নিয়ে পালং এর নিয়ে আশ্রয় নিয়ে জীবন বাঁচিয়েছি।
মারফত আলী, মো. নাজিম উদ্দীন, শমসুমিয়া ও কামরুকদলং গ্রামের মো. শমছু মিয়া বলেন, গতকাল রোববার রাতে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে সব শেষ করে দিয়েছে। মাত্র ৫ থেকে ৭ মিনিট ঝড় হয়েছে। আর তাতেই বসতঘরের সব আসবাবপত্রসহ পাশের জমিতে গিয়ে পড়েছে। এলাকার আশেপাশের আরো ৪ গ্রামের অন্তত তিনশ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত শাহা জানান, ঝড়ের কবলে এই উপজেলার ৫ শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করা হবে বলে ও জানান তিনি।