রাজশাহীর পুলিশের এ এস আই বলে কথা
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কয়েক ডজন ঘটনার জন্ম দিয়েও বহাল তবিয়্যতে করছেন পুলিশের চাকরি। এ যেন নিয়ম কে বৃদ্ধা আংগুল দেখানোর মত ঘটনা। নড়ে চড়ে বসেছেন কয়েকটি গণমাধ্যম । কয়েকটি সংবাদ ও প্রকাশ হয়েছে এই বিতর্কিত পুলিশ সদস্যের অপকর্মের ঘটনা নিয়ে। ফুঁসে মরছেন স্থানিয়রা তবুও এই পুলিশ সদস্য বেপরোয়া লাগাম হীন। তার নামে সংবাদ প্রকাশ হলে গণমাধ্যম কর্মীদের বেঁধে রাখার হুমকি দিয়েছেন এই পুলিশ সদস্য।
কিছুদিন পুর্বে পবা হাইওয়ে পুলিশের এ এস আই সোহেল রাজশাহীর বেলপুকুর থানা এলাকার দুটি পিকাপ ও কুষ্টিয়ার একটি তামাকজাত দ্রব্যের গাড়ি আটক করে মোটা অংকের বানিজ্য করেন, এমন তথ্য গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট হাতে আসলে একদল গণমাধ্যম কর্মী অনুসন্ধ্যানে নামেন। ভুক্ত ভোগীদের অনেকের সাক্ষাৎকার কল রেকর্ড সহ যথেষ্ট তথ্য মিলে পবা হাইওয়ে পুলিশের এ এস আই সোহেলের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ হলে সোহেল আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।
গণমাধ্যম কর্মীরা থেমে না থেকে সোহেল কে নিয়ে গভীর অনুসন্ধ্যান করতে থাকেন, আর তখনি ধরাদেয় সোহেলের আরো এক অপকর্ম ১৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে পবা হাইওয়ে থানার পুর্ব পাশে এক নারীর সাথে দীর্ঘ দিন ধরেই চলছিল সোহেলের মন দেওয়া নেওয়া। স্থানিয় একাধিক সুত্র বলছে সেই নারীর স্বামী দরিদ্র হওয়ার কারণে সোহেল প্রায় সময় সেই বাড়িতে যাওয়া আসা করতেন। বাজার পর্যন্ত করে সেই বাড়িতে সোহেলকে দিতে দেখেছেন স্থানিয়রা।
এই নিয়ে আশে পাশে কানাঘষা থাকলেও সর্বশেষ ১৪ ডিসেম্বর রাতে সেই নারীর ঘরে আটক হন সোহেল। অন্ধকারে তাকে ধোলাই দিলেও পরে পুলিশ চিনতে পেরে ঘরোয়া শালিস বৈঠক অনুষ্টিত হয়। সেখানে মোটা অংকের জরিমানা গুনে সেখান থেকে ছাড়া পান এ এস আই সোহেল। ঘটনার তথ্য গোপনে থাকলেও তিন দিন পরেই হাতে আসে গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট। এই নিয়ে পবা হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ক্যামেরার সামনে কেউ কথা বলতে রাজি না হলেও অনেকেই অলিখিত ভাবে বিষয়টি স্বীকার করে বলেন এমনিতেই উপর থেকে অনেক চাপ তাই আমরা চাপে রয়েছি।
তবে অভিযুক্ত সোহেল গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন আমার নামে এভাবে সংবাদ প্রকাশ হলে আমি তাদের বেঁধে রাখব। সোহেলের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ২০ ডিসেম্বর রাতেই এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাব।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় সোহেলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে শীঘ্রই তার শাস্তির দাবি নিয়ে মানব বন্ধন বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হবে।