নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কিছুতেই যেন কাটছেনা রাজশাহী বালুমহলের হিসেব নিকেশ, কারো পৌষমাস কারো সর্বনাশ এমন অবস্থাই যেন রাজশাহী বালু মহলের ইজারাদারদের নসিবে। তবে এমন ঘটনার জন্য দলীয় কোন্দল কেই দায়ি করছেন স্থানিয়রা।
রাজশাহী জেলা প্রশাসকের বরাত দিয়ে জানাযায় রাজশাহীর চরখিদিরপুর ও শ্যামপুর পদ্মানদীর মধ্যবতী স্থান বালু উত্তোলনের জন্য ৬ কোটি ২৪ লাখ টাকায় মেসার্স রজব এন্ড ব্রাদার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন্ডারের মাধ্যমে পাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় জটিলতা। এই জটিলতার কারনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি লোকসান গুনতে বসেছে। সেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বেধে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন নিয়মের বেড়াজাল।
আর এই বেড়াজাল কাটিয়ে উঠতে না পারায় এই প্রতিষ্ঠান মহামান্য হাইকোর্টে নিজের বৈধতা ফিরিয়ে পেতে একটি রিট করেন। এই রিটের সকল আদেশ রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আদেশ প্রদান করেন। এই আদেশ আসা মাত্রই বালুমহলের অপর পক্ষ রাজশাহীর জেলা প্রশাসককে বিভিন্ন ভাবে বুঝিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম বন্ধের জন্য সুপারিশ করেন। রাজশাহীর জেলাপ্রশাসক সংবাদ চলমান কে বলেন আমি সাধারন মানুষের কথা বিবেচনা করে তালাইমারি ঘাটদিয়ে বালু উঠানোর বিষয়ে নিষেধ করেছি। তিনি বলেন যদি তেমন অসুবিধা না ঘটে সেক্ষেত্রে আমাদের কোন আপত্তি নেই বৈধ ইজারাদার হিসাবে মেসার্স রজব এন্ড ব্রাদার্স বালু উঠাতেই পারে।
তবে রজব এন্ড ব্রাদার্স এর প্রোপাইটর রজব আলী এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন আমরা সরকারের সকল নিয়ম মেনেই আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে চাই।তাই আমি মহামান্য হাইকোর্টে পুনরায় রিট করেছি। তবে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একটি সুত্র বলছে এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অপর একটি পক্ষ হয়রানি করছে এছাড়া কিছু নয়। সুত্রটি আরো বলেন এই বালুমহলের ইজারানিয়ে আরেকটি পক্ষ জেলার গোদাগাড়ীতে সরকারি জায়গা দখল করে রাস্তার উপর প্রভাব ফেলে ইচ্ছেমত বালু উত্তোলন করছে সেখানে তেমন কোন আইনী জটিলতা হচ্ছেনা কিন্তু এই চরখিদিরপুর শ্যামপুর অনুমোদিত ঘাটের বালু তালাইমারি দিয়ে উঠতে গেলেই আইনী জটিলতা সৃস্টি হচ্ছে বিষয়টি নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন।
এই বালুমহল নিয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন আমি কিছুদিন পূর্বে এই গোদাগাড়ী প্রেমতলী সংলগ্ন ঘাটে অভিযান পরিচালনা করে অর্থদন্ড করেছি এর পরেও যদি তারা নিয়ম বহিভুত ভাবে পুনরায় বালু উত্তোলন শুরু করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আবারো ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অভিযোগ রয়েছে গোদাগাড়ী উপজেলায় ইজারা নেওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোন নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করেই দিন রাত উত্তোলন করছেন বালু।
এই বালু উত্তোলনের সংবাদ সংগ্রহ করতে যেয়ে পূর্বে গনমাধ্যম কর্মীরাও লাঞ্চিত হয়েছে সংশ্লীষ্ট মহলের হাতে। রাজশাহী নগরবাসি বলছেন সিন্ডিকেটের কারনে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লোকসান গুনছেন আর আরেকটি প্রতিষ্ঠান অজ্ঞাত কারনে প্রকাশ্যেই করছেন বালু উত্তোলন। বিষয়টি দেখভালের জন্য সংশ্লীষ্ট মহলের প্রতি জোরদাবি জানান তারা।