রাজশাহীতে লাগামহীন মেট্রোপলিটন টেকনিক্যাল এন্ড বিএম ইনস্টিটিউট
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
লাগামহীন হয়ে পড়েছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন টেকনিক্যাল এন্ড বিএম ইনস্টিটিউ। অভিযোগ উঠেছে ইনস্টিটিউটের ট্রেড ইন্সক্টার শরিফুলের নেতৃত্বে প্রভাষক দেলুয়ার হোসেন, সাইদুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, তারিকুল ইসলাম সহ ইমাম জাফর ইকবাল নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ( বিএমটি ) শিক্ষা ক্রমে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর বর্ষ মধ্য পরীক্ষা ফি বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ৪০০ টাকা গ্রহণ করছেন। এসএসসি ( ভোকেশনাল ) ও এইচএসসি ( বিএমটি ) শিক্ষাক্রমে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে সনদপত্র ও নম্বর পত্র বাবদ চার থেকে ৫০০ টাকা গ্রহণ করছেন ইন্সক্টার শরিফুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা।
অপরদিকে অধ্যক্ষ কর্তৃক নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত কলেজের সকল কার্যক্রম চলমান রাখার সেই নিয়মকে কোন তোয়াক্কা করছে না ক্ষমতাশীল শরিফুল ও তার সমর্থকরা। তারা নিজেরাই আইন তৈরি করে বেলা একটার মধ্যে কলেজের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দেন। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান এমন অনিয়মের প্রতিবাদ করায় তাকেও বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছেন তারা।
অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে অবৈধ ক্ষমতা প্রয়োগ করে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে পারে না তারা। ঘটনার সত্যতা জানতে মেট্রোপলিটন টেকনিক্যাল এন্ড বিএম ইনস্টিটিউটে গেলে সাংবাদিকদের দেখে শরিফুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকেন। তাদের দাবি এই কলেজের কোন সংবাদ প্রকাশ করা যাবে না।
একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেন এমন বেহাল দশা এমন প্রশ্নের উত্তরে রাজশাহী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, পূর্বেও নানা অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তবে এবার কঠোর ভাবে খতিয়ে দেখা হবে।
স্থানীয় ব্যক্তি ফয়সাল আহমেদ জানান, অধিকাংশ শিক্ষক জামাত-শিবিরের সাথে জড়িত। তাদের প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় অনিয়মে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করছি।