দুর্গাপুরে দালাল চক্রের রষাণলে সজিবের পরিবার
আলামিন ইসলামঃ
আদম ব্যবসায়ির চক্রের খপ্পরে পড়ে নিজ পরিবারের সম্মান নিয়ে বিপাকে পড়েছে সজিবের পরিবার। জানা গেছে দুর্গাপুর উপজেলার বেড়া গ্রামের সান্টুর ছেলে প্রবাসী সজিব দীর্ঘ সময় ধরে মালদ্বীপে প্রবাসি হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসলে প্রতিবেশি মাহফুজ নাসির তাকে জিজ্ঞেস করেন পাশের গ্রাম ঘোলহাড়িয়ার একজন ব্যক্তির কথা। সবুজ কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন ঘোলহাড়িয়ার সেই ব্যক্তির মাধ্যমে দেশের বাহিরে যাবো। তাদের প্রশ্নের উত্তরে সবুজ বলেন আমি মালদ্বীপে থাকি অন্যদেশ সম্পর্কে আমি ভালো জানিনা। তারা সেই ঘোলহাড়িয়ার ব্যক্তির সম্পর্কে জানতে চাইলে সজিব বলেন সেই ব্যক্তিকে আমি চিনি।
সেই ব্যক্তি আমার নানার বাড়ি দুর্গাপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের সুখান দিঘীতে তার স্থানিয় বাড়ি। সে ঘোলহাড়িয়াতে বিয়ে করে এখানে আসা যাওয়া করেন। সজিবের পরিবার ও স্থানিয়রা জানান পরবর্তী সময়ে মাহফুজ নাসির সেই ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে এক সময় প্রবাসে যায়। সেখানে তাদের মধ্যে কি হয়েছে এই ঘটনা নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে মাহফুজ নাসির মিলে সজিবের বাড়িতে হামলার চেষ্টা করছে।
শুধু তাই নয় তাদের থানা পুলিশ দিয়ে হয়রানী করাবে মর্মে বিভিন্ন ভাবে ভয় ভিতি প্রদর্শন করছেন। সজিবের প্রতিবেশি ও সজিবের বাবা সান্টু জানান সুখান দিঘির সেই ব্যক্তির সাথে তার আপন চাচা এই মানুষ পারাপারের কাজ করে থাকেন। তিনি বলেন তার চাচা ঢাকা বিমান বন্দর পর্যন্ত তাদের নিয়ে গিয়ে বিমানে উঠিয়ে দিয়েছেন এমন প্রমান রয়েছে। এই চক্রের সাথে মাহফুজ নাসির সম্পর্ক তৈরি করে প্রবাসে গিয়ে এখন সজিব কে হয়রানী করতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
সজিবের নামে মিথ্যা গুজব ছড়ানো সহ সজিবের পরিবারের উপর হুমকি ধামকির ঘটনা নিয়ে সজিবের পরিবার আতংকে দিন যাপন করছে। তারা গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন আমাদের যারা হুমকি ধামকি প্রদান করছেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। প্রবাসী সজিব মুঠো ফোনে বলেন যারা আমার নামে মিথ্যে গুজব ছড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে আমি তাদের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।
সজিবের গ্রামের স্থানিয়রা জানান, সজিব এমন একজন ছেলে সে দেশে থাকা অবস্থাতেও কোন দিন মানুষের সাথে খারাপ আচরন করেনাই তার নামে কোন খারাপ রিপোর্ট নেই। একটি চক্র তার সুনাম নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সজিবের পরিবারের উপর হামলার চেষ্টার ভিডিও ফুটেজ ও কার মাধ্যমে বিমান বন্দরে তারা গিয়েছে তার প্রমান গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট সংরক্ষিত রয়েছে।