সংবাদ সারাদেশসারাদেশ

টাঙ্গাইলে সেতু ভাঙ্গে বালুবাহীট্রাক-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ভেঙে পড়েছে। শুক্রবার রাতে পারাপারের সময় সেতুটি ভেঙে খাদে পড়ে যায়। এতে  যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রোগী পরিবহনেও দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সড়কসহ পাশের মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর, সাটুরিয়া ও ঢাকাগামী সড়কে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। শুক্রবার রাতে একটি বালুবাহী ট্রাক সেতুর উপর উঠার পরই পাটাতন ভেঙে ট্রাকটি আটকে গেলে এ সড়কে চলাচলকারি কয়েক হাজার মানুষ বিপাকে পড়ে। পরে ট্রাকটি সড়িয়ে নিলেও সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। এ দিকে র্দীঘদিন ধরে সেতুটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় দুর্ঘটনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা। নাগরপুর দরগ্রাম ভায়া ছনকা বাজার সড়কের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন সেতুটির দুই পাশের রেলিং ভেঙে এবং মাঝখানে দেবে গিয়েছিল। এরপরও ওই সড়কে যানবাহনগুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতো। তবে দীর্ঘদিন ধরে সেতুটির এমন দশা থাকলেও সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। এমনকি সেতুর কোনো পাশেই সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড সাঁটানো হয়নি। এমনকি বিকল্প কোনো সড়কের ব্যবস্থা করা হয়নি। সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড থাকলে হয়তো এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতো না।
 স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হলেও তাদের উদাসীনতার কারণে সেতুটি ভেঙে পড়েছে।সেতুর ঢালের মুদি দোকানি আব্দুস ছালাম বলেন, নাগরপুর দরগ্রাম ভায়া ছনকা বাজার সড়কের নাগরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন খালের ওপর সেতুটি নির্মিত হয় বাংলাদেশ স্বাধীনের আগে। এত বছর আগে সেতুটি নির্মিত হলেও আজ অবধি শুধুমাত্র রেলিং রং করা ছাড়া আর কোনো প্রকার সংস্কার করা হয়নি।নাগরপুর থানার ওসি আনিছুর রহমান বলেন, রাতে ঝুঁকিপূর্ণ ওই সেতু দিয়ে একটি বালুবাহী ট্রাক পারাপার হওয়ার সময় ভেঙে সেতুর উপর আটকে যায়। এরপর থেকেই ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।নাগরপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মাহবুবুর রহমান বলেন, যেহেতু খালের পানি প্রবাহ বন্ধ তাই আমরা দ্রুত সেতুটি ভেঙে সেখানে মাটি ভরাট করে চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান।

এই ধরণের সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন
Close
Back to top button