রাজশাহীরাজশাহী সংবাদ
নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে পুলিশ কমিশনারের নিকট আবেদন করলেন তৃপ্তি
সোহাগ আলীঃ
নিজে অপহরনের শিকার হতে গিয়ে নিজের পরিবারের সদসদস্যরাই মিথ্যে অপহরনের অভিযোগ নিয়ে হাজতে বাস করছেন। এমন চ্যাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীর মতিহার থানাধিন বুধপাড়া এলাকায়।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২১তারিখের ঘটনা নিয়ে তানিয়া আক্তার তৃপ্তি, পিতা রমজান আলী গ্রাম বুধপাড়া, থানা মতিহার আর এমপি রাজশাহী। সংবাদ চলমানকে জানান আমার প্রতিবেশি থানা কাটাখালির শ্যামপুর গ্রামের সেলিম নবাব (২৭) পিতা মোঃ বাবুল আলী দীর্ঘদিন ধরেই আমাকে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে রাস্তা পথে বিভিন্ন সময় বিরক্ত করত , কিন্তু সেলিম নবাবের পূর্বে একাধিক স্ত্রী থাকার কারনে আমার পরিবার সেই বিয়েতে রাজি ছিল না পরবর্তীতে অনেক ঘটনার পর তার সাথে আমার বিয়ে হয়। আর বিয়ের পর থেকেই আমার নাবালক জীবনে বয়ে আসে কষ্টের যত সব ঘটনা।
বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই জানতে পারি সে এই এলাকার ভয়ংকর একজন দাদন ব্যবসায়ি ও তার পরিবার মাদকের সাথে সংযুক্ত। সেলিম নবাবের নামে পূর্বে একাধিক মামলা রয়েছে এর একটি মামলায় তার ৫ বছরের কারাদন্ড হয়। এর পর পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমি আমার বাবার বাড়িতে চলে আসি ও তাকে কাজির মাধ্যমে তালাক দেই। দেড় বছর পর উচ্চ আদালত থেকে সেলিম নবাব জামিন নিয়ে এসে আমাকে বিভিন্ন ভাবে মুঠোফোনে ও লোক মাধ্যমে ভয়ভিতি দেখাতে থাকে। আমি ও আমার বাবা বিষয়টি এলাকার গন্য মান্য ব্যক্তিদের কেউ একাধিক বার অবহিত করি। তার পরেও এই দাদন ব্যবসায়ি সেলিম নবাব তার লোকজন দিয়ে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করে। এমন কি আমার নামে বাজে লিফলেট তৈরি করে রাতের আধারে রাস্তা ঘাটে বিলি করতে থাকে। সেই বিষয়টিও এলাকার অনেকেই অবগত।
তানিয়া আক্তার তৃপ্তি ও তার মা বলেন, আমাদেরকে কোন ভাবে হয়রানি করতে না পেরে সর্বশেষ গত ফেব্রুয়ারি মাসের ২১ তারিখে সে আমার বাড়িতে হামলা করে আমাকে উঠিয়ে নিতে আসলে এলাকা বাসি তাকে আটক করেন। থানা পুলিশ কে খবর দেওয়ার আগেই তারা থানা পুলিশ কে মিথ্যে তথ্য দিয়ে তার চাচাতো ভাই ও চাচাতো বোন কে সাক্ষি তানিয়ার বাবা ও ভাইকে অপহরন মামলার আসামি করে মামলা করেন।
নির্যাতিতা তানিয়া বলেন, সেই মিথ্যে মামলার অভিযোগ নিয়ে আমার বাবা ও ভাই কারা হাজতে বাস করছেন। সেলিম নবাবের দাদনের অবৈধ টাকার দাপটে আমাকে এখনো হুমকি প্রদান করছেন। আমি তার ভয়ে পথে ঘাটে চলাচল এমন কি কোন কাজ কর্ম সঠিক ভাবে করতে পারছিনা। আতংকে দিন কাটছে আমাদের মা মেয়ের জীবন। একজন মানুষের কারনে আমার পুরো পরিবার আজ অসহায় হয়ে পড়েছে। মানবেতর ভাবে কাটছে আমাদের জীবন।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, এই সেলিম নবাব দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার চিহ্নিত অপরাধিদের সাথে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ার মত ঘটনার সাথে জড়িত। এই সেলিম নবাব নিজেই অপহরন করতে এসে মিথ্যে নাটকের জন্মদিয়ে এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছে। এই নাটকীয় মামলা সহ সেলিম নবাবের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসি।