আবারো ঈশ্বরদীতে ভয়ংকর পলেথিন কারখানার সন্ধান- দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি
ঈশ্বরদী প্রতিনিধিঃ
উত্তর অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হিসাবে পাবনার ঈশ্বরদীকে গননা করা হলেও এই উপজেলায় মাদকের সাথে তাল মিলিয়ে গড়ে উঠেছে ভয়ংকর পলেথিন কারখানা।
আর এসব কারখানার অন্তরালে কাজ করছে কিছু ভয়ংকর সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের থাবা থেকে বাঁচতে অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নেয় সংবাদ প্রকাশ সহ নানা পদক্ষেপে। এই উপজেলায় পূর্বে থেকেই কিছু মাদক ও চোরা কারবারি তৎপর থাকলেও বর্তমানে অসাধু ব্যবস্যায়িরা বেছে নিয়েছে তাদের ব্যবসার বিভিন্ন কৌশল।
তবে এই নতুন কৌশল এখনো নজরে আসেনি সংশ্লীষ্ট মহলের। ঈশ্বরদী উপজেলা সদরে প্রকাশ্যে তৈরি করছে অবৈধ পলেথিন এমন অনুসন্ধানে গেলে প্রকাশ্যে ভিডিও করতে বাধা আসলেও বাংলাদেশ কন্ঠের গোপন ক্যামেরায় উঠে আসে এই পলেথিন কারখানায় অবৈধ পলেথিন তৈরির দৃশ্য।ঈশ্বরদী সদরের শৈলপাড়ায় গত চার বছর ধরে গোপনে শিপন নামের ব্যক্তি তার পেশি ক্ষমতা দিয়ে করছে পলেথিন সহ নানা দ্রব্যাদি তৈরি।
সেখানে অজ্ঞাত কারনে কোন আইন প্রয়োগকারি সংস্থার নজরে না আসলেও বিভিন্ন মহলে চলছে বেশ কানা ঘোষা। অনেকেই প্রশাসনের দিকে সন্দেহের তীর ছুড়ছে। কেউবা স্থানিয় দের দ্বায়িকরে বলছেন তাদের অবহেলার কারনেই আজ নিষিদ্ধ কারখানা চলছে দিনের আলোতে। স্থানিয়রা জানান অনেক কর্মকর্তাই অলিখিত দাবি নিয়ে যান এই কারখানা থেকে। আর এই কারনেই দুধ দেওয়া গাভির মত বাঁচিয়ে রেখেছে এই অবৈধ কারখানা।
তবে এরপর আইন প্রয়োগ কারি সংস্থার নজরে না আসলে লিখিত ভাবে বিষয়টি উপর মহলে জানানো হবে বলেও জানান স্থানিয়রা। অনেকের প্রশ্ন পরিবেশ অধিদপ্তর এখানে কিভাবে কিসের ছাড় পত্র দিয়েছিল। সরকারি ভ্যাট ট্যাক্স নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে এরই মাঝে। তবে এই কারখানার মালিক এই দপ্তর গুলোর সাথে যোগাযোগ আছে দাবি করলেও প্রকৃত পক্ষে এই কাগজ গুলো আছে কিনা সেটি প্রশ্ন বিদ্ধ।
অচিরেই এই কারখানা বন্ধ সহ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লীষ্ট মহল। সুশিল সমাজ মনে করছেন এই কারখানার কারনে সরকারের তথা আইনের প্রতি সাধারন মানুষের আস্থা লোপ পাচ্ছে। তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আস্থা ফিরিয়ে আনতে জরুরি ভাবে এই কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন জরুরি বলে মনে করছেন তারা।