পঞ্চগড়ে নৌকাডুবিতে নিহতদের সংখ্যা বেড়ে ৩০
পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
পঞ্চগড়ের নৌকাডুবির ঘটনায় আরও ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে নিহতদের সংখ্যা দাঁড়াল ৩০ জনে।
আজ(২৬ সেপ্টেম্বর) সোমবার সকালে করতোয়ায় দুটি, দিনাজপুরের খানসামার আত্রাই নদীতে একটি এবং আরও দুটি মরদেহ ভেসে ওঠে।পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানালে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করা নিহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার তুষার কান্তি রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই ব্যাপারে তিনি জানান ,আজ সকালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের করতোয়ায় দুটি, দিনাজপুরের খানসামার আত্রাই নদীতে একটি এবং আরও দুটি মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে আমাদের জানালে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, ভোর ৬টা থেকে রংপুর, কুড়িগ্রাম ও রাজশাহীর তিনটি ডুবুরি ইউনিট উদ্ধার কাজ করছে। ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হবে। অতীত অভিজ্ঞতা ও নদীর প্রবাহ দেখে মনে হচ্ছে, ভুক্তভোগীদের কেউ দুর্ঘটনাস্থলে নেই। তারপরও প্রত্যেক ভুক্তভোগীকে উদ্ধারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
নিহতরা হলেন-শ্যামলী রানী (১৪), লক্ষী রানী (২৫), অমলকৃষ্ণ (৩৫), শোভারানী (২৭), দিপংকর(৩), পিয়ন্ত(২.৫), রুপালী ওরফে খুকিরানী (৩৫), প্রমীলা রানী (৫৫), ধনবালা (৬০), সুচিত্রা রানী (৫৭), ফাল্গুনী (৫০), প্রমিলা দেবী (৭০), জোতিষ চন্দ্র (৫৫), তারা রানী (২৪), সোনেকা রানী (৬০), সফলতা রানী (৪০) হাতেম আলী (৭০), বিলাশ চন্দ্র (৪৫), শ্যামলী রানী ওরফে শিমুলি, উশাশী (০৮), তনুশ্রী (০৫), শ্রেয়শী, প্রিয়ন্তী(৮), বিঞ্চু(৩.৫), ব্রজেন্দ্রনাথ (৫৫)।
আজ সকাল থেকে ঘটনাস্থলের আশেপাশে নিহতদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের তিনটি ইউনিট অভিযান শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থলে নতুন করে কোনও মরদেহ উদ্ধার হয়নি। নদীর ওই অংশে পানির তীব্র স্রোত লক্ষ করা গেছে। এখনও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন বলে নদীতীরে অপেক্ষমাণ স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে জানা গেছে, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা গতকাল রবিবার দুপুর ২;৩০ মিনিটে মহালয়া উপলক্ষে বোদা, পাঁচপীর, মাড়েয়া, ব্যাঙহারি এলাকায় নৌকায় করে বদেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন।নৌকায় বেশি যাত্রী থাকায় মাঝ নদীতে যাত্রীর চাপে নৌকা একপাশে উল্টে যায়। কিছু মানুষ সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বেশিরভাগ যাত্রীই এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।