দূর্গাপুররাজশাহীরাজশাহী সংবাদরাজশাহী সংবাদসংবাদ সারাদেশসারাদেশ

রাজশাহীর দুর্গাপুরে দুই নারীর মৃত্যু- জান্নাতির মৃত্যুতে রহস্যের আভাষ

দুর্গাপুর প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর দুর্গাপুরে বিভিন্ন কারণে অভিমান করে ২৪ ঘন্টায় (২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১লা মার্চ) নারী-পুরুষ ও শিশুসহ আটজন আত্বহত্যার উদ্দেশ্যে বিষ পান করেছেন।

এদের মধ্যে দুইজন নারী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, দুর্গাপুর উপজেলার পাইকড়তলী গ্রামের ওয়াশিমের স্ত্রী জান্নাতুন (২৫) ও উপজেলার তেবিলা গ্রামের রেন্টুর স্ত্রী তহমিনা (৩০)।
বিষপানের অন্যান্য রোগীরা হলো, উপজেলার পানানগর গ্রামের ময়না বিবি (৪৫), বেড়া গ্রামের রেজাউলের শিশু সন্তান তানজিমুল (৩), কানপাড়া গ্রামের বিথি (৩০), দেবীপুর গ্রামের মহনা (১৮), পানানগর গ্রামের আঃ সাত্তার (৪৫), কাশেমপুর গ্রামের ইরিন খাতুন (২০) ও সায়বাড় গ্রামের হাবিবা খাতুন (১৫)।
দুর্গাপুর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে বিষপানের রোগী দুর্গাপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়। রোগীরদের অবস্থা আশংকা জনক হলে চিকিৎসার জন্য তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে আজ (০১ লা মার্চ) শনিবার দুইজন নারীর রামেক হাসপাতালে মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে দুর্গাপুর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মেহেদী হাসান জানান, বিষপানে হাসপাতালে ৮ জন রোগী ভর্তি হয়। এদের মধ্যে অবস্থা আশংকাজনক দেখে ৫ জন রোগীকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ও বাকি ৩ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বর্তমানে তারা সুস্থ্য আছে।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহীম আলী জানান, বিষপানে আত্বহত্যায় মৃত্যুর ঘটনায় থানায় দুইটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিহত জান্নাতুল মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ঐ এলাকায় চ্যাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। সুত্র বলছে জান্নাতির স্বামী ওয়াসিম বাড়িতে না থাকার সুবাদে তার শ্বশুর মেরাজ ফকির মাঝে মধ্যেই ছেলের স্ত্রীকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতেন।

এই মেরাজ ফকির গাজা সেবন করে ছেলের স্ত্রীকে শুক্রবার আবারো বাঁশ দিয়ে গোপনাঙ্গে প্রহার করেন এর পরে তার গোপন অঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হলে জান্নাতি বিষ পানে আত্মহত্যা করে। নিহত জান্নাতির তিন বছরের ছেলে এই নিয়ে সাংবাদিকদের রহস্যময় তথ্য দিয়েছেন।

এই ধরণের সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button