দূর্গাপুররাজশাহীরাজশাহী সংবাদ

দুর্গাপুরে ভুয়া পরিচয়ে মেয়র হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এই আলমগীর

নুরজামাল ইসলামঃ

অবাক করার মত হলেও সত্য যে নিজের নামের পূর্বে কৃষিবীদ লিখে দুর্গাপুরের সহজ সরল মানুষদের কে ধোকা দিয়ে দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র হওয়ার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন পৌরসভার হরিপুর গ্রামের আবুল জেলের বড় ছেলে আলমগীর।

সরে জমিনে সংবাদ সংগ্রহে গেলে উঠে আসে এই আলমগীরের যত কুকীর্তি। নির্বাচনী প্রচারনায় ছেয়ে দেওয়া ফেষ্টুন ব্যানারে আলমগীর উল্লেখ করেছেন কৃষিবীদ আলমগীর। এই নিয়ে সুশিল সমাজের নিকট চলছে আলোচনার ঝড়। তবে দীর্ঘদিন ধরে এমন ফেষ্টুন ব্যানারে দুর্গাপুর পৌরসভার বিভিন্ন অঞ্চল ছেয়ে দিলেও আলমগীরের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ভয়ে প্রকাশ্যে এর কোন প্রতিবাদ করেননি কেউ।

তার নামের সাথে কৃষিবীদ লেখার বিষয় নিয়ে রাজশাহী জেলার কৃষি কর্মকর্তা মুঠোফোনে বলেন কেউ ডিপ্লোমা করে কোন ভাবে কৃষিবীদ লিখতে পারবেনা তিনি বলেন কৃষিবীদ লিখতে হলে অবশ্যই আলাদা ভাবে ডিগ্রী নিতে হবে। তবে দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন আমি এর আগেও মৌখিক ভাবে বিষয়টি অবগত হয়েছি ডিপ্লোমা করে থাকলে তিনি ডিপ্লোমা কৃষি নামের পূর্বে ব্যবহার করতে পারবেন। তিনি  বলেন বিষয়টি আমি আলমগীর কে অবগত করব। অভিযোগ রয়েছে এই আলমগীর দুর্গাপুরে সরকারি পুকুর দখল থেকে শুরু করে টেন্ডার বাজি অবৈধ ব্যবসার শেয়ার সহ ডজন অভিযোগে অভিযুক্ত।

স্থানিররা জানান তার নিজগ্রাম সহ একাধিক সরকারি পুকুর এখনো রয়েছে তার দখলে যা খবর নিলেই এর সত্যতা মিলবে।আলমগীর  দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের দ্বায়িত্বে থাকাকালিন সময়ে এই উপজেলায় গড়ে তুলেন অপরাধিদের সিন্ডিকেট, যে সিন্ডিকেটের হাত ধরেই আজ সে কালোটাকার মালিক বনে পৌর মেয়রের স্বপ্ন দেখছেন। স্বপ্ন দেখছেন দুর্গাপুরের সহজ সরল মানুষদের শাসন করার। তার অনিয়ম  নিয়ে পূর্বে গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে আলমগীর প্রকাশ্যে বলেন আমার প্রচারনা হচ্ছে, বলেন আমি দলের মনোনয়ন কিনে নিয়ে আসব। তার এমন মন্তব্যে দুর্গাপুরের পৌরবাসি বিচলিত হয়েছে। দলের সিনিয়র নেতা কর্মীরা এমন মন্তব্যের প্রতিবাদ করে বলেন একজন মাছধরা জেলের এমন হুংকার দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমরা উপর মহলে অবগত করেছি দলীয় সিদ্ধান্ত এলেই এই নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারব। দুর্গাপুর উপজেলার দেবীপুর গ্রামের বি এন পির রসিদের কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে ক্ষমতা দেখিয়ে প্রলোভনে বিয়ের পর আবার ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সালিশি বৈঠকে তালাক দেন এই মাছুয়া আলমগীর।  পুঠিয়া দুর্গাপুরের সংসদের একজন আস্থাভাজন ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন সরকারি দলের ব্যানারে এই বিতর্কিত  ব্যক্তি করছে যত অনিয়ম। তিন আবার নেতা হয়ার স্বপ্ন দেখছে, তিনি বলেন  এমন আগাছা ছাটাই করার লক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। খুব শীঘ্রই এগুলো পরিস্কার করা হবে।

 

এই ধরণের সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button