দুর্গাপুরে নৌকা ঠেকাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সুমন বাহিনীর মহড়া
স্টাফ রিপোর্টারঃ
গত ২৮ ডিসেম্বর দুর্গাপুরের মাড়িয়া ইউনিয়নের দই মাড়িয়া গ্রামে দেশীয় অস্ত্র সহ আটক হন জনি কামার নামের ব্যক্তি। সেই অস্ত্র সহ মুল ঘটনার অনুসন্ধানে নামেন প্রশাসন ও গণমাধ্যম কর্মীরা। গোয়েন্দা সূত্র অনুযায়ী ইউপি নির্বাচনকে রক্তে রুপ দিতেই এমন পরিকল্পনার জন্ম দিয়েছিলেন মাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোল্লা হাসান ফারুক ইমাম সুমন। তিনি দুর্গাপুর উপজেলা বি এন পির আহ্ববায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
সুত্রমতে বিগত ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরেই সুমন চেয়ারম্যান ও তার পিতা মোল্লা আব্দুল ওয়াহেদের নামে দেশের একাধিক গণমাধ্যমে মোল্লা আব্দুল ওয়াহেদের দেশ বিরোধী কার্যক্রম রাজাকারের তালিকা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। দেশের সরকারি দলের কেন্দ্রস্থল পর্যন্ত নড়ে চড়ে বসে। এই নিয়ে মামলাও পরিচালনা হয়। রাজশাহী জেলার একজন উচ্চ পদ ধারী আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় এখনো প্রকাশ্যে ঘুরছেন এই মোল্লা পরিবার।
স্থানীয়দের মাঝে দীর্ঘ সময় এই নিয়ে কানা ঘোষা থাকলেও মোল্লা পরিবারের দাপটে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলেনা। স্থানীয়দের দাবি এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব করে একাধিক বার মাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নির্বাচিত হয়েছেন এই সুমন। দুর্গাপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দাবি একজন রাজাকারের সন্তান নিজের দাপট দেখিয়ে কিভাবে শাসন করছেন ৬ নং মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ সহ পুরো দুর্গাপুর উপজেলা।
দুর্গাপুর উপজেলার একজন মুক্তিযোদ্ধা বলেন, যাদের শরীরে দেশের পবিত্র রক্ত রয়েছে তারা কিভাবে একজন দেশ বিরোধী ব্যক্তির সন্তানের নেতৃত্বে চলে। তিনি বলেন একই সাথে দেশ বিরোধী আর দেশের পক্ষের রক্ত থাকতে পারেনা। সুত্র অনুযায়ী কিছুদিন পূর্বে দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘ সময় হাজত বাস করেন এই সুমন চেয়ারম্যান। তিনি পূর্বেও বিভিন্ন অনিয়ম আর দুর্নীতি মামলায় হাজত বাস করেছেন অনেক মামলা থেকে উচ্চ আদালতের জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
দুর্গাপুর উপজেলার ৬ নং মাড়িয়া ইউনিয়নে একটি হাইস্কুল করে সেই প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নাম করে একাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই সুমন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। অনেক চাকরি প্রার্থী তার টাকা ফেরত না পেয়ে অভিযোগ সহ মামলা করার মত ঘটনাও ঘটেছে সুমন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ৫ম ধাপে আনারস প্রতীক নিয়ে সুমন চেয়ারম্যান নির্বাচনে মাঠে নামার পর থেকেই নানা অপকর্মের অভিযোগ উঠে আনারস প্রতীকের সমর্থকদের নিয়ে।
স্থানীয়দের দাবি ২৮ তারিখের যে ঘটনা তা ধামা চাপা দিতেই লোক দেখানো সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন সুমন চেয়ারম্যান। কথিত সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজের অপরাধ ধামা চাপা দেওয়ার ঘটনা সহ সুমন চেয়ারম্যানের সন্ধেহ জনক চলাচলের উপর নজরদারি করছেন বিভিন্ন সংস্থা।
দুর্গাপুর থানার একাধিক পুলিশ সদস্য সুমন চেয়ারম্যানের অপরাধ জগতে প্রবেশ করে ৫ তারিখের নির্বাচন যেন বিতর্কিত করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে সংশ্লীষ্টদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসের একটি সূত্র জানায় নিয়ম ভেঙ্গে নির্বাচনী প্রচারনা করার অভিযোগ রয়েছে আনারস প্রতীকের উপর সেটি আমরা তদন্ত করে দেখছি।