নিখোঁজের চারদিন পর এক প্রবাসীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনার আটঘরিয়ায় নিখোঁজের চারদিন পর আব্দুল খালেক খান নামে এক প্রবাসীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে আব্দুল খালেককে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার চৌকিবাড়ি এলাকার ইছামতি নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আব্দুল খালেক পাবনা সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের শামসুদ্দিন খানের ছেলে।
আটঘরিয়া থানার ওসি সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, বিকেলে ইছামতি নদীতে একটি লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। কয়েকদিন আগে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে লাশটি নদীতে ডুবিয়ে রেখে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
দুপুরে পাবনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন আব্দুল খালেকের স্বজনরা। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, সম্প্রতি কুয়েত প্রবাসী আব্দুল খালেকের সঙ্গে প্রথম স্ত্রী উম্মে কুলসুম বীনার বিচ্ছেদ হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ চলছিল। এর মধ্যেই গত ১৭ জুলাই বিকেলে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী উম্মে কুলসুম বীনার মোবাইল ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হন খালেক। বের হওয়ার সময় বর্তমান স্ত্রীকে বলে যান প্রথম স্ত্রীর কাছে থাকা ছোট সন্তানকে আনতে যাচ্ছেন। কিন্তু চারদিন পার হলেও খালেক বাড়ি না ফেরায় গত ১৮ জুলাই সদর থানায় একটি জিডি করেন স্বজনরা।
তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী উম্মে কুলসুম বীনা ও তার বর্তমান স্বামী মো. শাহিদুল ইসলাম আসিফ পরিকল্পিতভাবে খালেককে ডেকে নিয়ে হত্যা বা গুম করতে পারেন বলে অভিযোগ স্বজনদের।
নিহত খালেকের ছোট ভাই মো. আব্দুস ছালাম খান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বড় ভাই মো. খলিলুর রহমান খান, দ্বিতীয় স্ত্রী সাদিয়া খাতুন ও চাচা মো. আলমগীর হোসেন খান।