রাজশাহীর কাটাখালি এলাকায় মাদক ও দাদনের রমরমা বানিজ্য নিয়ে প্রতিবেদন পর্ব ১
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজশাহীর নিকট বর্তী কাটাখালী থানাধীন শাহাপুর এলাকায় প্রতিনিয়ত বসেছে মাদকের হাট।এর সাথে যোগ হয়েছে দাদনের ব্যবসা। প্রশাসনের ধরা ছোয়ার বাইরের থেকে যাচ্ছে সাহাপুর এলাকার চিহ্নিত গডফাদার সেলিম নবাব। সাহাপুর এলাকায় এই সেলিম নবাবের বাড়ি হলেও কাটাখালি অঞ্চলে সুদে নবাব নামেই এই সেলিম নবাব পরিচিত।
অনুসন্ধানে জানা গেছে এই সেলিম নবাবকে প্রকাশ্যে মদদ দিচ্ছেন সাহাপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মাসুদ। এই মাসুদের বিরুদ্ধে ও রয়েছে মাদক সেবন মাদক বহন সহ নানা অভিযোগ। জানা গেছে এই সাবেক মেম্বার মাসুদ নিজেকে সরকার দলীয় নেতা পরিচয় দিয়ে এলাকার চিহ্নিত মাদক ও দাদন ব্যবসায়িদের নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন। এই মাসুদের বড় ভাই হান্নান এক সময় এলাকার সকল অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করতেন।
হান্নান সিমান্ত বর্তী এলাকায় চিহ্নিত হয়ার কারনে বি এস এফ সদস্যরা তাকে হত্যাকরে। আর হান্নানকে হত্যা করার পর থেকে এই সাবেক মেম্বার মাসুদ বেপরোয়া হয়ে উঠেন এখন সকল অপরাধ জগত চলে মাসুদ মেম্বারকে বখরা দিয়ে। সাহাপুরের সুদে সেলিম নবাবের নামে অপহরন সহ একডজন মামলা চলমান থাকলেও তার সকল কিছু নিয়ন্ত্রন করছেন সাবেক মেম্বার মাসুদ। মহামারী করোনা ভাইরাসকে কোন প্রকার তোয়াক্কা নাকরে ফেন্সিডিল, হেরোইন ও ইয়াবার ব্যবসার সাথে দাদনের ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে সেলিম নবাবের উপর।
সেলিম নবাবের অপকর্মের বিষয়ে জানে না ওই এলাকায় এমন কোন মানুষ নেই।এলাকার রাব্বেল নামের ব্যক্তির উপর অভিযোগ উঠেছে ফেন্সিডিলের ব্যবসা করেই গড়ে তুলেছে আলিসান বাড়ি, যা সকলের কাছে চোখে পড়ার মত। সেটির পেছনেও রয়েছে দুই কির্তী বাজের নাম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন শাহাপুর, টাংগন, মুক্তারপুর, কাটাখালী, ইউসুফপুর বেলঘড়িয়া এলাকার খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতিনিয়তই ফেন্সিডিল, হেরোইন ও ইয়াবা চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে কিছু মাদক সম্রাাট যাদের সাথে রিতিমত আর্থিক লেনদেন করেন সেলিম নবাব।
কাটাখালি থানার একটি সুত্র বলছে এদের চক্রকে পাকড়াও করতে আমরা সজাগ রয়েছি কিন্তু আমরা পরিকল্পনা করতেই সেই সিন্ডিকেটের কানে আগেই পৌছেযান আমাদের পরিকল্পনার খবর। সুত্রটি বলেন সেলিম নবাব ও সাবেক মেম্বার মাসুদের খবরটি আমাদের নিকট পুর্বে থেকেই রয়েছে। পুলিশের আরেকটি সুত্র বলছে এই সাবেক মেম্বার মাসুদ এক সময় রাজশাহীর আলোচিত গডফাদার নেংড়া বাবুর হয়ে কাজ করতেন আর সেই সাহসেই চলে মাসুদের অপকর্ম চলবে-