রাজশাহীতে ১০ম শ্রেনির ছাত্রিকে ধর্ষণ – অবশেষে বেলপুকুর থানায় অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
এই প্রতারক যেন সিনেমার গল্পকেও হার মানিয়েছে , বখাটে মিঠুনের কালোক্ষমতার নিকট এলাকার মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে এখন প্রকাশ্যে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন মেয়ের পরিবারকে।
অসহায় ১০ম শ্রেনিতে পড়ুয়া সেই ধর্ষিতা নিরুপায় হয়ে ২২ মার্চ রাজশাহীর মতিহার বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার এর নিকট নিজের ধর্ষণের বিচার চেয়ে লিখিত আবেদন করেন। রাজশাহীর মতিহার বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার এই লোমহর্ষক ঘটনা শোনা মাত্রই আর এম পির বেলপুকুর থানাতে অভিযোগ দায়ের করতে বলেন।
২২ মার্চ সেই ধর্ষিতা বাদি হয়ে বেলপুকুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই ধর্ষিতা এজাহারে উল্লেখ করেছেন বেলপুকুর থানার মোল্লা জামিরা গ্রামের মিঠুন(৩০) পিতা সালাম দীর্ঘদিন যাবৎ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক তৈরি করে। তাদের পাড়া পাশাপাশি হওয়ার কারনে বিভিন্ন সময় সেই ধর্ষিতার বাড়িতেও আসা যাওয়া করত সেই মিঠুন।
মিঠুনের এমন প্রতারনার ঘটনা মিঠুনের বড় ভাই মান্নান বিভিন্ন ভাবে ধামাচাপা দেওয়া সহ সেই বাদিকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভিতি দেখানোর ঘটনার জন্মদিয়েছে।গত দুইমাস ধরে ধর্ষিতাকে চাপের মুখে রেখেছেন প্রভাবশালী মান্নান। ধর্ষিতার মা সংবাদ চলমানকে বলেন তারা বেলপুকুর থানা এলাকার প্রভাবশালী। তিনি বলেন আমার মেয়ের সাথে যে ঘটনা ঘটেছে এমন ঘটনা যেন আর কোন মায়ের সন্তানের ভাগ্যে না ঘটে। অপরাধিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
এই ধর্ষণের বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান কালে মিডিয়া কর্মীদের সামনে সেই ধর্ষক সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করেন। ধর্ষক মিঠুন বলেন সেই মেয়ে আমাকে ফোন করত, পরে মিডিয়া কর্মীরা সেই ধর্ষিতার সাথে উঠানো কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আলামত দেখালে ধর্ষক মিঠুন কৌশলে সটকে পড়েন। কিছুক্ষন পরে মিডিয়া কর্মীদের তদবির করার চেষ্টা করেন। ধর্ষকের পক্ষ নিয়ে তদবির কারক ও তাদের স্বীকার উক্তি মুলক জবানবন্দি মিডিয়া কর্মীদের নিকট প্রমান স্বরুপ থেকেযায়।
ধর্ষক মিঠুনের পক্ষ নিয়ে তদবির কারক সেই দুইজন বি এন পির স্থানিয় নেতাদের কল রেকর্ড ও ভিডিও চিত্র রেকর্ড হয়। স্থানিয়রা জানান এই মিঠুন পূর্বে ও একাধিক নারীর সাথে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। মিঠুনের চরিত্র নিয়ে জামিরা এলাকার অনেকের অভিযোগ রয়েছে । অভিযোগ উঠেছে এই ধর্ষণের ঘটনা ধামা চাপাদিতে এরই মাঝে একজন ছাত্রলীগ নামধারি ব্যক্তি বিভিন্ন তদবিরের কাজ করছেন।
এমন আলোচিত ধর্ষণের পক্ষ নিয়ে যারাই কাজ করবে তাদের কাউকে কোনভাবে ছাড় দেওয়া হবেনা এমন প্রতিশ্রুতির পরেও এমন ঘটনার জন্মদিয়ে কিভাবে মিঠুন প্রকাশ্যে ঘুরছেন সেটি নিয়ে এলাকা বাসির মধ্যে জমেছে ক্ষোভের পাহাড়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন মেয়েদের প্রতি শতভাগ বিচারের ব্যবস্থা নিয়েছেন ঠিক সেই সময় এমন্ প্রতারক কিভাবে প্রকাশ্যে ঘুরছেন সেটি নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। জানতে চাইলে বেলপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন মিঠুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়াহচ্ছে।