রাজশাহীতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা
মোঃ বাবর মোল্লাঃ
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চৌমহনী এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জামিরুল হক নামের ব্যক্তিকে তার নিজ বাসায় তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানিয়রা জানান দীর্ঘ দুই মাস ধরে জমিজমার ভাগ বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে বড় ভাই আমিনুল ইসলাম ও ছোট বোন আমেনা বেগম ও তার স্বামী পিপলু সরকার সহ তিনজন মিলে আতাত করে ছোট ভাই জামিরুল ইসলামের বাসায় এসে তার স্ত্রী শাবনাজ বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে দেশি অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে আড়াই ভরি স্বর্ণ সহ মোটরসাইকেল কেড়ে নেয়।পরে বাধা দিতে গেলে জামিরুল ইসলামের স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন তারা।
পরে ১৭ ই ফেব্রুয়ারি আমিনুল ইসলাম ও তার ছোট বোন আমেনা বেগম তার স্বামী পিপলু সরকার জামিরুল ইসলামের বাসায় এসে রাত ৮.৩০ মিনিটে জোরপূর্বক ভাবে ঘরে প্রবেশ করে সুটকেসে রাখা তিন লক্ষ টাকা সহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে দুই ঘরে ও রান্নাঘরে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে চলে যায়। পরে জামিরুল ইসলাম বাদী হয়ে কাটাখালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয়রা আরো জানান , জামিরুল ইসলামের বাসায় তিনটা রুম রয়েছে। যারমধ্যে দুইটা রুমে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করেছে তার বড় ভাই ছোটবোন ও ভগ্নিপতি।এক রুমের মধ্যে দুইটা বাচ্চা ও স্ত্রী নিয়ে খুব কষ্টে জীবন যাপন করছেন জামিরুল ইসলাম। তাদের রান্না ঘরেও তালা দেওয়া হয়েছে।অন্যের বাসাতে রান্না করে খেয়ে কোনরকম মানবেতর দিন যাপন করছেন।
জামিরুল ইসলামের বড় ভাই ও ভগ্নিপতি পিপলু সরকার খারাপ প্রকৃতির মানুষ। মাঝেমধ্যেই বাসায় এসে জামিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী শাবনাজ আখতার কে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে।
এমন নির্মম নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে জামিরুলের স্ত্রী শাহনাজ বেগম সংবাদ চলমান কে বলেন, আমি নিরুপায় হয়ে পড়েছি, আমার শ্বশুর শাশুড়ি মারা যাওয়ার পরে,আমার বড় ভাসুর ও ছোট ননদ সহ তার জামাই পিপলু সরকার জোরপূর্বক ভাবে আমাদের বাসায় এসে দুটি রুম ও রান্নাঘর দখল করার চেষ্টা করে। আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ আমাকে শ্লীলতা হানির চেষ্টা করে।পরে দুইটি রুম সহ রান্নাঘর তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে দেয়। এই মত অবস্থায় আমি কি করবো বুঝতে পারছি না,অন্যের বাসায় রান্না করে কোনরকম খেয়ে দিন কাটাচ্ছি।আমি সরকারের নিকট বিনীত দাবি করছি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রণের মাধ্যমে আমার স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরিয়ে দেওয়া সহ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের।