রাজশাহীরাজশাহী সংবাদ

রাজশাহীতে জাপা নেতাদের উক্তি- স্বৈরাচার বলার কারণ তারা জানেনা

স্টাফ রিপোর্টারঃ

দেশের মিথ্যে বদনাম নাম বহন কারি সামরিক কর্মকর্তা থেকে রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাদের প্রতিপক্ষের ‘ রষানলে ফেলে স্বৈরাচার’ বলে বদনাম করলেও তার কোনো কারণ স্পষ্ট ব্যাখ্যা করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান, রাজশাহী মহানগর কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘কিছু মানুষ অন্যায়ভাবে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে স্বৈরাচার বলেন মুখরোচক। কিন্তু কেন তাকে স্বৈরাচার বলে তার সঠিক উত্তর দিতে পারেন না তারা।


৬ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে জাতীয় পার্টি রাজশাহী মহানগর শাখার কার্যালয়ে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষন কালে সাইফুল ইসলাম স্বপন এসব কথা বলেন।


তিনি বলেন, ১৯৮২ সালে বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে সরিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বসা এরশাদ ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন এটি সকলের জানা । বিভিন্ন দল ও সংগঠন দিনটিকে ‘স্বৈরাচার পতন দিবস’ হিসেবে পালন করেন আসলে তারা জানেনা এই দিনের ঘটনা। অপরদিকে এরশাদের পক্ষে জাতীয় পার্টি পালন করে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে।


উক্ত আলোচনা কালে রাজশাহী মহানগর জাতীয় পাটির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ সেলিম বলেন, জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তর করার পরই বাংলাদেশের গণতন্ত্র ‘নিপাত যেতে শুরু করে’ ঘুরপাক খাচ্ছে ।


তিনি তার মুল্যবান বক্তব্যে বলেন, ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্র ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকে গণতন্ত্রের পতন হয়েছে এটি আপনাদের স্বীকার করা উচিত। দেশের মানুষের জন্য মঙ্গলময় রাজনীতির পতন শুরু হয়েছে। আর উত্থান হয়েছে স্বৈরতন্ত্রের। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও আমাদের বলতে হচ্ছে, স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক। এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর হতে পারে না। এখন রাস্তায় নেমেই কেউ আর স্লোগান দিতে পারে না যে স্বৈরাচার নিপাত যাক।এই থেকেই বোঝা যায় দেশের মানুষ কতটা গণতন্ত্রের সুফল ভোগ করছেন।

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে ‘একনায়কতন্ত্রের’ সঙ্গে তুলনা করে ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ সেলিম বলেন, ‘দেশে সাংবিধানিকভাবে এখনো একনায়কতন্ত্র চলছে। একটি দলের প্রধান সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন দেশের নির্বাহী বিভাগের প্রধান হন তিনি। আবার সরকার প্রধানের সিদ্ধান্তের বাইরে দলীয় সংসদ সদস্যরা ভোট দিতে পারে না, তাই সরকার প্রধান যা বলেন তার বাইরে কিছুই হতে পারে না। এতে আইন সভাও সরকার প্রধানের অধীনে। অপরদিকে বিচার বিভাগ রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে শতকরা ৯৫ ভাগই সরকার প্রধানের অধীনে। তাই রাষ্ট্রে প্রধান তিনটি বিভাগ এক ব্যক্তির অধীনে থাকায় এক ব্যক্তির শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।

এই চৌকস রাজনৈটিক বিদ আরো অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশের মানুষের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ধ্বংস করে দিয়েছে যা আমাদের জন্য সুফল নয়।’

উক্ত অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টির মহানগর নেতা সালাউদ্দিন মিন্টু বলেন, ‘পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের ৯০ ভাগ মানুষের প্রত্যাশা পূরণের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম ঘোষণা করেছেন যা দেশ বাসির মন্র রাখা উচিত ছিল। যতদিন বাংলাদেশে জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব থাকবে ততদিন কেউ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পরিবর্তন করতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করতে আওয়ামী লীগ বিএনপি এক হয়ে অপচেষ্টা করেছে, কিন্তু সফল হয়নি। আওয়ামী লীগ ২১ বছর ক্ষমতায় না থেকেই নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল। আবার মাত্র ১৩ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থেকে বিএনপি অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু জাতীয় পার্টি ৩১ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতার বাইরে থেকেও অত্যন্ত সুসংহত রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে মাঠে আছে এটি সকলের জানা দরকার ।


জাতীয় পার্টির সংবিধান সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা সাজিদ রওশন ঈশান মতিহার থানার আহবাহক সারনাল সরকার,বোয়ালিয়া থানার সাধারন সম্পাদক এ অঅর খান লাবলু, সাহমখদুম থানার সদস্য সচিব আশরাফ আলী, নুরুজ্জামান রফিক, আফুাব হোসেন, এসারুল ইসলাম, আক্তারুজ্জামান মিলু, মো: ইকবাল হোসেন, ছাত্র নেতা শাওন,প্রমুখ।

এই ধরণের সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button