রাজশাহীরাজশাহী সংবাদ

পশ্চিম রেলের মতিউর বলে কথা ১০ বছর ধরে নাটকীয় পদে রহস্যের আভাষ

দীর্ঘ ১০ বছরের অধিক সময় ধরে স্ব দায়িত্বে থাকা কর্মস্থলে না থেকে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ইচ্ছে মত চাকরি করতে পছন্দ করেন তিনি । তার উদাসিনতার ফলে স্ব দায়িত্বের কাজের ফাইল পত্রের স্বাক্ষর,কাজের ধিরগতি সহ নানা সমস্যার সম্মুক্ষিন হচ্ছে পশ্চিম রেলের সংশ্লিষ্ট  দপ্তরটি।

রেলওয়ে পশ্চিম রাজশাহীর সদর দপ্তরের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক অফিসের  উর্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলীর অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সহ সরকার বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে।

সাংশ্লিষ্ঠ অফিস সূত্রে জানা যায় ১০ বছর আগে মতিউর রহমানের বদলি হয় রেলওয়ে সৈয়দপুরের অধিনে সান্তাহার এসএসএই/ই  অফিসে।উর্ধতন মহলে । তদবির করে অতিরিক্ত দায়িত্বে পূর্বের কর্মস্থল রাজশাহীতে চলে আসেন তিনি। এর পর থেকে স্ব কর্মস্থল সান্তাহারে না গিয়ে এখানে বহাল থেকেই নিয়ম বহিভূত ভাবে করছেন নানা অপকর্ম।

সান্তাহার অফিসের ইনচার্জ আবু মুঈদ(ডিসিওএস) বলেন, উর্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলী পদটি গুরুত্বপূর্ণ পদ।মতিউর রহমান মাসে এক -দুইদিন আসেন। যার ফলে কাজের ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসটির অনেকেই বলেন, রাজশাহী প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক অফিসে থাকা কালিন সময় থেকেই তিনি টেন্ডার সিন্ডিকেটের সাথে জড়িয়ে পড়েন। আর এরই লোভে তিনি কোন নিয়মকে তোয়াক্কা করতে নারাজ।

এখানে উর্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলী পদে থাকা কালিন সময়ে টেন্ডারের গোপন তথ্য ফাঁস ও টেন্ডারের সাথে কমিশনে কাজ করে হিসেব বিহীন অর্থের মালিক বনেগেছেন তিনি।

রাজশাহীর অবৈধ মধুর লোভেই স্ব কর্মস্থলে যেতে অনিহা তার।

জানা গেছে রেলওয়েতে তার চাকরির ১৯ বছরের কর্ম জীবনে রাজশাহী নগরীর ভদ্রার পারিজাত আবাসিক এলাকায়  কয়েক কোটি টাকা মুল্যের অত্যাধুনিক বিলাস বহুল দুটি ফ্লাট কিনেছেন।যার একটিতে তিনি নিজেই বসবাস করছেন।

এছাড়া তার স্ত্রীর নামে ঠিকাদারি লাইসেন্স করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেই ঠিকাদারি করে আসছেন সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধা আঙুল দেখিয়ে।

মতিউর রহমান তার উপর আনিত অভিযোগের বিষয়টি সত্যনয় বলে দাবি করলেও। তার বিরুদ্ধে কালো সম্পদ ও অর্থের বিষয় নিয়ে ঢাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে কিছুদিন পুর্বে। তিনি দাবি করেন তার সততা, কাজের দক্ষতার জন্য তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে রাজশাহী অফিসে আনা হয়েছে।

 এছাড়া দুটি বিলাস বহুল ফ্লাট তার আছে স্বীকার করলেও টেন্ডার সিন্ডিকেট ও কোন ঠিকাদারি কাজে জড়িত নয় বলে তিনি জানান। গোপন একটি সুত্র বলছে মতিউরের বাড়ি রাজশাহীর উপ কন্ঠ কাটাখালী হয়ার সুবাদে পুর্বেই তিনি জামাত শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। চাকরি জিবনে তিনি জামাতের অর্থ দাতা হয়ে আড়ালে কাজ করছেন। > চলবে

এই ধরণের সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button