বিনোদন

এবার মারা গেলেন সংগীত শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী

বিনোদন ডেস্কঃ

মারা গেলেন ভারতের কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী। গতকাল (১৫ ফ্রেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার রাতে মুম্বাইয়ের ক্রিটি কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎস্বাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।

জানা গেছে,বেশ কিছুদিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। গত বছর তিনি করোনা আক্রান্ত হন। যদিও সেই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।   

তিনি ১৯৭০-৮০ দশকের শেষের দিকে চলতে চলতে, ডিস্কো ডান্সার এবং শারাবির মতো বেশ কয়েকটি ছবিতে আইকনিক গান পরিবেশনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। তার শেষ বলিউড গান ছিল ২০২০ সালের বাঘি ৩ ভঙ্কাস।

সঙ্গীত জগতে একের পর এক তারকা পতন, লতা মঙ্গেশকরের পরই সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, সেই শোক কাটতে না কাটতেই প্রয়াত সুরকার, গীতিকার বাপ্পি লাহিড়ী। হিন্দি গান থেকে শুরু করে বাংলা গানের জগতে একের পর এক হিট গান উপহার দিয়ে সাধারণের মনে যার সদা উপস্থিতি। 

চিকিৎসারত ডাক্তার দীপক নমজোশির বলেন, তিনি এক মাস হাসপাতালে চিকিৎসারত ছিলেন। সোমবারই দেওয়া হয়েছিল হাসপাতালের পক্ষ থেকে ছুটি। তবে মঙ্গলবারই শারীরিক অবস্থার অবনতী ঘটে, পরিবারের তরফ থেকে ডাক্তারকে বাড়িতেই ডেকে পাঠানো হয়। ডাক্তারের পরামর্শ তৎক্ষণাত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবার। বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যা থাকায় দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা হয়। অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়াতে মৃত্যু ঘটে বাপ্পি লাহিড়ীর। মধ্যরাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। 

উল্লেখ্য, কিশোর কুমার ছিলেন বাপ্পির সম্পর্কে মামা। বাবা অপরেশ লাহিড়ী ও মা বাঁশরী লাহিড়ী দুজনেই সঙ্গীত জগতের মানুষ। ফলে একমাত্র সন্তান বাপ্পি ছেলেবেলা থেকেই গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। মা-বাবার কাছেই পান প্রথম গানের তালিম। মা-বাবা নাম দিয়েছিলেন অলোকেশ, কিন্তু জনপ্রিয়তা পান বাপ্পি নামে।

১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন বাপ্পি। তারপর দীর্ঘদিন বাংলা ও হিন্দি ছবির গান গেয়েছেন, সুর দিয়েছেন। শরীরে প্রচুর সোনার গয়না পরতে ভালবাসতেন তিনি। বলতেন, আমাদের ভগবানের নাম সোনা, ছিল গায়কির নিজস্ব কায়দা, যা তাকে হিন্দি ছবির জগতে অনরকম পরিচিতি দিয়েছিল। পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার এবং সম্মান।

বাপ্পি লাহিড়ী রাজনীতিতেও নেমেছিলেন। বিজেপিতে যোগ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে ভোটেও লড়েছিলেন। কিন্তু রাজনীতিতে কখনওই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ কখনই তিনি করেননি।

এই ধরণের সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button