দুর্গাপুরের অবৈধ পুকুর খননের দ্বায়ীত্বে, কে এই সাহাজামাল?
বিশেষ প্রতিবেদকঃ
রাজশাহীর দুর্গাপুরে অবৈধ পুকুর খনন থেকে শুরু করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নাম ভাংগিয়ে অবৈধ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে সাংবাদিকদেরকে ম্যানেজ করা সহ ডজন অভিযোগ উঠেছে দুর্গাপুর উপজেলার দেবিপুর গ্রামের কথিত সাংবাদিক নাম ধারি সাহাজামালের উপর।
দুর্গাপুর উপজেলার একাধিক ব্যক্তি এই সাহাজামালের অনৈতিক কার্যক্রমের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মিডিয়া কর্মীদের নিকট গুরুতর সাক্ষাৎকারদেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা কান্না জড়িত কন্ঠে মিডিয়া কর্মীদের বলেন, বাবা আমার জমি জোর করে দখল করেছে তারা। এমনকি আমার জমির টাকাও ঠিকভাবে দেয়নি। কে বা কারা এই রকম করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাহজামাল নামের এক ব্যাক্তি আছে এদের সাথে।
এবিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে জানতে চাইলে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, এই সাংবাদিক সাহজামাল দুর্গাপুরের সকল পুকুর খননের সাথে জড়িত রয়েছে। তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই সাহজামাল বিভিন্ন রকম ভয় ভীতি দেখিয়ে ও অলৌকিক ক্ষমতায় মানুষকে কব্জা করে মোটা সুবিধা নিচ্ছেন।
ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা অভিযোগ করে বলেন গত কয়েক মাস যাবৎ এই সাহাজামাল নিজেকে দুর্গাপুর প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক পরিচয় দিচ্ছেন, সেই সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভুমি এর নামের উপর পুকুর খনন কারীদের নিকট অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।
ঘটনার সত্যতা খুজতে দুর্গাপুর উপজেলায় রাজশাহীতে কর্মরত একাধিক মিডিয়া কর্মী গেলে পুকুর খনন কারী জাহাঙ্গীর এর নিকট থেকে সাহাজামাল অর্থ হাতিয়ে নেওয়া সহ উপজেলার আংরার বিলে একাধিক তিন ফসলি ধানি জমিতে পুকুর খননের দৃশ্য মিডিয়া কর্মীদের নজরে আসে, সাংবাদিকদের আসার বিষয়টি টের পেয়ে পুকুর খনন কারীরা মহুর্তে পালিয়ে গেলেও ঘটনা স্থলে সাংবাদিক নাম ধারি সাহাজামাল হাজির হয়ে বলেন এই সকল পুকুরে আমার ভাগ রয়েছে। সেইসাথে মিডিয়া কর্মীদের হাতে দুই হাজার টাকা ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করেন। তিনি আরও বলেন বিষয়গুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবগত আছেন।
জানতে চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট ফোন করলে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসদেন। দুর্গাপুর থানার একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা সাহাজামালের হুমকিতে আতংকিত হয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তার কথা না শুনলেই পুঠিয়া সার্কেল এস পি সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেন এই সাহাজামাল।