প্রতারক জিয়ার আরেক নাম PS মিনিষ্টার-কে এই জিয়া?
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ট্রুকলার নামটা অনেকেরই শোনা ও চেনা। ট্রুকলারে ফোন দিতেই স্কিনে নাম ভেষে উঠলো জিয়া PS মিনিষ্টার। কে এই জিয়া আর কে এই মিনিষ্টার? জানার আগ্রহ এখন সবার।
জিয়া PS মিনিষ্টার ট্রুকলার আইডিটার তথ্য জানতে মাঠে নামে অনুসন্ধানী টিম। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসলো এই আইডিটার আসল পরিচয়। সে আর কেউ নয় রাজশাহী রেলওয়ের ৪ র্থ শ্রেনীর কর্মচারী জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া। অনুসন্ধানী টিম আরও গভীরভাবে খোঁজখবর নিতে শুরু করে। জানা যায় তার আসল রূপ। প্রতারনা চক্রের আরেক নাম জিয়া। এই চক্রে শুধু জিয়াই নয় এর সাথে জড়িয়ে আছে অনেকেই।
জিয়া রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার নন্দনগাছীর রাজ্জাক স্বর্ণকারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী রেলওয়েতে রেলের বার্তা বাহক হিসেবে চাকরি করে আসছেন। দীর্ঘদিন চাকরি করার সুবাদে দুর্নীতি আর অনিয়মের রাস্তাটা তার ভালোই চেনা। জিয়া ওরফে পিএস মিনিষ্টারের বিষয়ে অত্র এলাকাতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকাতে যাননা। এর কারন জানতে চাইলে এলাকাবাসি বলেন, এই জিয়া এলাকার অনেক মানুষের নিকট থেকে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা নিয়েছে । এই টাকা আজও ফেরত পাইনি তারা। এলাকাবাসি আরও বলেন এই জিয়া এলাকাতে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পরিচয় দেয়, কারও কাছে মানবাধিকার কর্মী আবার কারও মিনিষ্টারের পিএস আবার কারও কাছে সংবাদ কর্মী। এই প্রতারক জিয়া এলাকাতে চাঁদাবাজিসহ সাধারণ মানুষকে মিথ্যা তথ্য জাহির কারে ব্ল্যাকমেইল করে থাকে। এই ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজির দায়ে পুঠিয়া থানায় একটি অভিযোগও হয়েছে তার নামে। যার তদন্ত করছে এএসআই মাসুদ। ঘটনা সুত্রে জানা যায়, চারঘাট এলাকার মিলন নামের এক ব্যাক্তির নিকট চাকরি দেওয়ার নামে ৬ লক্ষ্য টাকা নেয়। যার উপযুক্ত প্রমান রয়েছে। একি ভাবে প্রতারনার শিকার হয় ঐ এলাকার মুনসান নামের আরেক ব্যাক্তি। ভুক্তভুগি মিলন ও মুনসান জানায়, রেলওয়ে চাকুরীর আশায় মন্ত্রীর পিএস জিয়াউর রহমান জিয়ার সাথে কথা বলে হাসিবুলকে রেল ভবনে গিয়ে তারা টাকা দিয়েছে । চাকুরী আশায় দীর্ঘদিন অপেক্ষায় থাকার পর জানতে পারে তারা প্রতারনা শিকার হয়েছে । এখন তারা আইনগত ব্যবস্থা নিতে গিয়েও নানাভাবে হয়রানির মুখে পড়েছে । তবে এই প্রতারনার সফর সঙ্গি, তার দুলাভাই সোহরাবও রয়েছে। জিয়ার রাজশাহীর কিছু স্থানীয় অনলাইন পত্রিকার সাথে সু-সম্পর্ক থাকায় সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করান । পরে তাদের নিকট ভয় ভিতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করেন । জিয়ার সম্পর্কে আরও জানা যায় তিনি মাদকাশক্ত।
অপরদিকে পশ্চিম রেলওয়ের নাম প্রকাশে অনচ্ছুইক একাধিক ব্যাক্তি জানায়, একাধিক পরিচয় বহন করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন লোকের নিকট টাকা নেই। প্রায় শুনতে পাওয়া যায় সেসব ঘটনা । এমনকি রাজশাহী রেলভবনের রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য সে সংবাদিকদের দিয়ে দেয়, আর অফিসারদের বিপদে ফেলেন । এছাড়াও সে মাদক আসক্ত হওয়ায় ভুল তথ্য ও আইন বহিঃভুত তথ্য সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করেন । তারা বলেন এই প্রতারক জিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের প্রয়োজন। আইনের আওতায় নিলে অজানা সকল ঘটনা বেরিয়ে আসবে। তবে আমরা শুনেছি জিয়ার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
এ বিষয়ে পশ্চিম রেলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মিহির কান্তি গুহ বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ হাতে পায়নি, তবে শুনেছি যে লিখিত অভিযোগ আমার দপ্তরে জমা হয়েছে । বিষয়টি তদন্ত পুর্বক দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।