ধর্ষণের মামলা তুলেনিতে ধর্ষিতার পরিবার কে হুমকি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
এবার ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে ধর্ষিতার পরিবার কে হুমকি প্রদান করার ঘটনা ঘটেছে। রাজশাহীর বেলপুকুর থানার মোল্লাজামিরা গ্রামের মিঠুন(৩০) পিতা সালাম একই এলাকার এক স্কুল পড়ুয়া দশম শ্রেনির এক ছাত্রিকে দীর্ঘদিন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শাররিক সম্পর্ক করে আসছিল।
কিছুদিন ধরে সেই ছাত্রি মিঠুন কে বিয়ের জন্য চাপদিলে প্রতারক মিঠুন বিয়ের বিষয়ে অস্বীকার করেন। স্থানিয়রা বিয়ের বিষয় নিয়ে একাধিক বার মিঠুনের সাথে কথা বললে সু চতুর মিঠুন সকল ঘটনা অস্বীকার করেন। পরে সেই মেয়ের নিকট থাকা প্রমান সামনে আনলে মিঠুন কৌশলে সটকে পড়ে। পরে এই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন তদবিরে নামে ধর্ষক মিঠুনের প্রভাব শালি ভাই মান্নান সহ কিছু হাইব্রিড নেতা। সেই ধর্ষিতা ২২ মার্চ আরএম পির বেলপুকুর থানায় ধর্ষণের সকল ঘটনার বিবরন দিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নং ২৪ ।
মামলা দায়ের করার পর থেকে ধর্ষক মিঠুন গ্রুপের লোকজন সেই ধর্ষিতা সহ তার [পরিবার কে বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃস্টি করছে মামলা তুলে নিতে। কিছু হাইব্রিড নেতা নামীয় ব্যক্তি ও এলাকার কিছু সরকার বিরোধি দলের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা এই ঘটনা ধামা চাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ২৩ মার্চ সেই ধর্ষিতা তাকে ও তার পরিবার কে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি মুঠো ফোনে আরএম পির মতিহার বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কে জানালে তিনি পুনরায় বেল পুকুর থানাকে অবহিত করার জন্য বলেন। সেই ধর্ষিতা ২৩ মার্চ দুপুরেই বেলপুকুর থানায় গেলে বেলপুকুর থানার ওসি জরুরি ভাবে তাকে মেডিকেল পরিক্ষার জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠান।
ধর্ষিতার পরিবারের দাবি আমার মেয়ের সাথে যে ঘটনা ঘটানো হয়েছে সেটি এলাকার অনেকেই জানে। লজ্জায় আমার মেয়ে ঘর থেকে বেরহতে পর্যন্ত পারছিল না। একজন আইনের লোকের পরামর্শে আমরা আইনের আশ্রয়ে যাই। কিন্তু সেখানে যেয়ে আমরা নতুন ভাবে হুমকি ধামকির স্বীকার হচ্ছি। আমার মেয়ের এই ঘটনায় যারা মিঠুন কে সহযোগিতা করছে তাদেরকেও আমি আইনের আওতায় আনার দাবি করছি। স্থানিয়রা জানান এই মিঠুনের নারী ঘটিত একাধিক খারাপ রিপোর্ট রয়েছে। আর কোন এক অবৈধ ক্ষমতার দাপটে মিঠুন ও তার বড় ভাই মান্নান এলাকায় বিভিন্ন অনিয়ম করে বেড়ায়।
মিঠুনের অডিও রেকর্ড সহ অনেক আলামত এরই মাঝে প্রমান স্বরুপ মিলেছে থানা পুলিশ ও গনমাধ্যম কর্মীর নিকট। ধর্ষক মিঠুন কে দ্রুত আইনের আওতায় না আনলে ধর্ষণের বিচার চেয়ে মানব বন্ধন করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পুর্ণ করেছে জামিরার শতাধিক মানুষ। জানতে চাইলে বেলপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন জানান এই মামলার প্রাথমিক ভাবে ধর্ষণের ঘটনার আলামত মিলেছে। তিনি বলেন আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য আমরা অনুসন্ধান করছি। দ্রুত এই প্রতারক মিঠুন কে গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান এই চৈকস পুলিশ কর্মকর্তা।