সংবাদ সারাদেশ

সমস্যার সমাধান না দিয়েই উল্টো কেড়ে নিল কৃষকের প্রাণ

সংবাদ চলমান ডেস্কঃ

সাতক্ষীরায় এ কেমন সালিস? সমস্যার সমাধান তো দেয়নি, উল্টো কেড়ে নিল এক নিরীহ কৃষকের  প্রাণ। যার নির্মমতার বলি হলেন সেই কৃষক।

সমস্যার সমাধানে ইউপি চেয়ারম্যান ডাকলেন সালিস। এতে দোষী সাব্যস্ত করা হয় গোলাম কুদ্দুছ নামে এক কৃষককে। পরে চেয়ারম্যানের নির্দেশে ওই কৃষকের ওপর চলে নির্যাতনের স্টিমরোলার। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই কৃষকের মৃত্যু হয়।

সালিসের নামে নির্মম নির্যাতনের এ ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরার কলারোয়ায়। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

মারা যাওয়া গোলাম কুদ্দুস উপজেলার চন্দনপুর ইউপির হিজলদি গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার সকালে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়।

কলারোয়া থানার এসআই রাজ কিশোর পাল জানান, মঙ্গলবার সকালে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তিনি একটি টেলিফোন পান। এ সময় তাকে বলা হয় চন্দনপুর ইউপির হিজলদি গ্রামে একটি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এরপরই তিনি হিজলদিতে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এসআই আরো জানান, গোলাম কুদ্দুসের বিরুদ্ধে একটি নারীঘটিত অভিযোগ করেন তার প্রতিবেশী। এ অভিযোগের ভিত্তিতে চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের নির্দেশে গোলাম কুদ্দুসকে নোটিশ করে ডেকে আনা হয়।

গত শুক্রবার গ্রাম আদালতে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য সালিস বৈঠক বসে। এতে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ও দুই চৌকিদার দিলীপ ও অশোক। গ্রাম আদালতের বিচারে গোলাম কুদ্দুসকে দোষী সাব্যস্ত করে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করেন চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন গোলাম কুদ্দুস।

এসআই রাজ কিশোর আরো বলেন, গোলাম কুদ্দুস বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে অবস্থার অবনতি হলে তাকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

এসআই রাজ কিশোর কলারোয়া হাসপাতালের এক প্রাথমিক রিপোর্টের বরাত দিয়ে জানান, গোলাম কুদ্দুস শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য গোলাম কুদ্দুসের মরদেহ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, অভিযোগকারী মনি ও তার ভাবী রাজিয়া খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

কলারোয়া থানার ওসি মুনীর উল গীয়াস জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানা গেছে।

এই ধরণের সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button