সংবাদ সারাদেশ

সরিষাবাড়ীর পিংনা ইউনিয়নে পদ বঞ্চিতদের ক্ষোভ, সমালোচনার ঝড়

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল আজিজ,সরিষাবাড়ীঃ

জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সন্মেলন না করে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে হত্যা মামলার ৩ জন্য আসামি সহ ১জন কুখ্যাত দালালের নাতি ও রাজাকারের সন্তানকে নিয়ে কো-অপ্ট কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ীতে আওয়ামী লীগের সন্মেলন কে সামনে রেখে তড়িগড়ি করে ১৬ বছর পর পিংনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৬৯ সদস্য বিশিষ্ট (কো-অপ্ট সংশোধিত) কমিটি ৩ বছরের জন্য সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচারনার জন্য অনুমোদন দিয়েছে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগ। গত ১৯/০৮/২০২২ইং তারিখে সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন বাদশা স্বাক্ষর করেন। একই কমিটির তালিকায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক প্রফেসর ড.মোঃ হারুন-অর-রশীদ গত ১৯/০৯/২০২২তারিখে স্বাক্ষর করেন। (কো-অপ্ট কমিটিতে ডাক্তার মোঃ নজরুল ইসলাম কে সভাপতি আব্দুল সালাম(বাংলার বাবু) কে ও সাধারন সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করে ৬৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগ। 

পিংনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সুত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ পিংনা ইউনিয়ন শাখা’র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ২০০৫ইং সালে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ওই কমিটি ২০০৬ সালের ২৪ আগষ্ট ৬৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে সভাপতি হিসেবে ডাক্তার মোঃ নজরুল ইসলামকে এবং সাধারন সম্পাদক হিসেবে আব্দুস সামাদ কে অনুমোদন দেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক ও সাধারন সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন বাদশা।পিংনা ইউনিয়ন কমিটির সাধারন সম্পাদক আব্দুস সামাদ মৃত্য বরণ করলে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আব্দুল সালাম(বাংলার বাবু)দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। ওই কমিটির ১০ জন মৃত্যবরন করেন। অপর দিকে ওই কমিটির সহ সভাপতি আতিয়ার রহমান হীরার বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কুখ্যাত রাজাকার ভূমিকা থাকার কারণে সমালোচনা হলে তার দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে রেজাউল করিম বাবুল তার নিজ গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওযায় পদটি শুন্য হয়। 

নুতন কমিটির ব্যাপারে   মুঠোফোনে জানতে চাইলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন বাদশা জানান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন আসন্ন হওয়ায় সময় স্বল্পতার কারনে পিংনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন করা সম্ভব না হওয়ায় কো-অপ্ট কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান।

উক্ত কমিটির সভাপতি ডাঃনজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুস সালাম (বাংলার বাবু) ও সহ সভাপতি সুজাত আলী (সুরুজ) এ  ৩ জন হত্যা মামলার (চলমান)আসামি।অপরজন তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক,মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর কুখ্যাত দালাল কাওয়ামা গ্রামের মৃত -আজিজুর রহমান (আজিজ কেরানী)এর নাতি ও দুর্ধর্ষ রাজাকার মৃত মতিয়ার রহমান (কেরু) এর সন্তান, সুজাত আলী ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক, মশিউর রহমান রাসেল। 

 এ ব্যাপারে ডাঃ নজরুল ইসলাম জানান, আমার জনপ্রিয়তায় ঈষান্বিত হয়ে দলীয় কোন্দলের  মাধ্যমে আমাকে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য এই মামলায় জড়ানো হয়। এরপরেও অত্র ইউনিয়নের জনসাধারণ আমাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেন আমি বর্তমানে পিংনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং নতুন  আওয়ামী লীগের কমিটিতে আমাকে সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন,মামলার বিষয়টি আপোষ মিমাংশার প্রক্রিয়া দিন রয়েছে।

এ বিষয়ে পিংনা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের  ডেপুটি কমান্ডার  আবুল কাশেম বলেন,  নতুন কমিটিতে তিনজন হত্যা মামলার আসামি ও একজন মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর কুখ্যাত দালাল কাওয়ামারা গ্রামের আজিজুঅর রহমান  (আজিজ কেরানি) নাতি ও কুখ্যাত রাজাকার মতিউর রহমানের সন্তান তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং পিংনা সুজাত আলী ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মশিউর রহমান রাসেল।কাজই   ওই কমিটি বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ প্রত্যাখ্যান করেন বলে জানান।। নাম 

প্রকাশ না করার শর্তে একজন নেতা  বলেন,  কো- অপ্ট  কমিটি দিতে হলে অবশ্যই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভায় রেজুলেশনের মাধ্যমে অনুমোদন নিতে হবে। তাছাড়া উক্ত কো-অপ্ট কমিটি গ্রহনযোগ্য নহে। এ কমিটি নিয়ে ত্যাগি নেতা ও পদ বঞ্চিত খোধ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীগণের মাঝে তীব্র সমালোচনার ঝড় ও ক্ষোভ বিরাজ করছে ।

এই ধরণের সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button