ভিক্ষা দেওয়ার নামে ভিক্ষুককে ধর্ষণের চেষ্টা
বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়ায় হাসিলা বেগম নামে এক বিধবা ভিক্ষুককে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেফতার দুই আসামি।
আসামিরা হলেন- ওই উপজেলার আনারপুর কচুগাড়ি গ্রামের শামসুল মণ্ডলের ছেলে বাদশা আলম ও আনারপুর হঠাৎপাড়া গ্রামের বাদু মণ্ডলের ছেলে ফজলুল হক। তারা পেশায় সিএনজিচালক।
গতকাল রবিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধুনট থানার এসআই আকবর আলী।
তিনি জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় জবানবন্দি গ্রহণ শেষে দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বগুড়া আমলি আদালাতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খালিদ হাসান। নিহত হাসিলা বেগমের মোবাইলের কল লিস্টের সূত্র ধরে ১৬ অক্টোবর রাতে নিজ বাড়ি থেকে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে, ১২ অক্টোবর সন্ধ্যায় ভিক্ষা শেষে আনারপুর গ্রামে বোনের বাড়ি গিয়েছিলেন বিধবা হাসিলা বেগম। ফেরার পথে তাকে হত্যা করে বাদশা ও ফজলুল।
জানা গেছে, একই উপজেলার কালেরপাড়া ইউপির ঘুগরাপাড়া গ্রামের শুকর আলী মণ্ডলের মেয়ে হাসিলা বেগম সারাদিন গ্রামে গ্রামে ঘুরে ভিক্ষা করতেন। দিন শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে হাঁড়িতে চড়াতেন ভিক্ষা করে পাওয়া চাল। সঙ্গে ভিক্ষার সামান্য টাকায় কেনা ডাল, আলু বা সবজি। ১৩ অক্টোবর সকালে বাড়ির পাশের একটি পতিত জমি থেকে তার গলায় ওড়না প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৩ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের বোন ধলি বেগম। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বাদশা আলম ও ফজলুল হককে আদালতে তোলা হয়।
ধুনট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান মিঞা জানান, ১২ অক্টোবর রাতে বোনের বাড়ি থেকে ফেরার সময় হাসিলা বেগমকে ধানক্ষেতের পাশে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে বাদশা আলম ও ফজলুল হক। পরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। গ্রেফতার দুই আসামি দায় স্বীকার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তাদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে আরো কয়েকজন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে তারা। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে।